
নিজস্ব প্রতিবেদক:- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার মনজুর হোসেন ওরফে কোটিপতি বাবুল তিতাসের কর্মকর্তাদের বোকা বানিয়ে মার্বেল ফ্যাক্টরির আড়ালে গ্যাস চুরি করে আজ শত কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক। শুধু তাই নয় মার্বেল তৈরির আড়ালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালাতো চুনা কারখানা। এমনই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালানো চুনা কারখানার খবর পেয়ে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন চুনা কারখানাটি ভেঙে গুরিয়ে দেন। অনুসন্ধানে জানা যায, প্রায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তার মালিকানাধীন মহিমা মার্বেল এন্ড বিয়ারিং ফ্যাক্টরিতে বৈধ লাইনের আড়ালে অবৈধ লাইন টেনে কোটি কোটি টাকার গ্যাস চুরি করে বাবুল আজ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, আর সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। মহিমা মার্বেল ফ্যাক্টরিতে বৈধ গ্যাসের আড়ালে অবৈধ গ্যাসে চলার কারনে তিনি রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গত কয়েকদিন আগে তিতাস কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানা সংলগ্ন এলাকায় মঞ্জুর হোসেন বাবুলের মালিকানাধীন মহিমা মার্বেলে এন্ড বিয়ারিং ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে চোরাই লাইনের সন্ধান পায়। বিশেষ কায়দা ফ্যাক্টরিতে অবৈধ লাইন টেনে বছরের পর বছর গ্যাস চুরি করে মার্বেল ফ্যাক্টরি চালিয়ে আসছিল প্রতারক বাবুল। অবশেষে তিতাসের অভিযানীক দল অবৈধ লাইন কেটে ফ্যাক্টরি সিলগালা করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করে এবং গ্যাস চুরির অপরাধে মামলা দায়ের করেন। অনুসন্ধানে একাধিক সূত্রে আরও জানা গেছে, মঞ্জুর হোসেন বাবুল বর্তমানে তার মার্বেল ফ্যাক্টরিতে গ্যাস সংযোগ পুনরায় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে এবং তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য নারায়ণগঞ্জ তিতাসের জোনাল অফিসে ছোটাছুটি করছে । গোপনসূত্রে জানাগেছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর এলাকায় তার নেতৃত্বে চলছে অবৈধ চুনা তৈরির কারখানা। চুনা তৈরির কারখানার ৫ ফর্দে কম্পোজকৃত একটি চুক্তিনামাও পাওয়া গেছে । কারখানা গুলোতে নেই কোন কাগজপত্র ও বৈধ গ্যাস লাইন। বছরের পর বছর বাবুলচক্র মার্বেল এন্ড বিয়ারিং ও চুনা পাথর কারখানার আড়ালে গ্যাস চুরি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনেগেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের লাহা পাড়া গ্রামের তমিজ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে মনজুর হোসেন বাবুল। এদিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে ফোনে দিলে প্রতিবেদকের সাথে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে মহিমা মার্বেল এন্ড বেয়ারিং ফেক্টরির স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর হোসেন বাবুল বলেন, আমার ফেক্টরীর নামে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গ্যাস বিল বকেয়া ছিল, বকেয়া থাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, আমাকে কোন জরিমানা করা হয় নাই। তাছাড়া গজারিয়ায় আমার কোন চুনা ফেক্টরী নাই। তিতাসের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের তিতাসের প্রধান কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিঞা জানান, অবৈধভাবে মঞ্জুর হোসেন বাবুল দীর্ঘদিন যাবত মার্বেল ফ্যাক্টরির আড়ালে গ্যাস চুরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ কেটে তাকে আইনের আওতায় এনে দুই ভাউচারে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।



Discussion about this post