
মোঃ ফজলুল কবির গামা, ঝিনাইদহ থেকে:- ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ২ নং দোড়া ইউনিয়ন এর শ্রীরামপুর গ্রামের পূর্ব পাড়া মাঠে আঙ্গুর চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঐ এলাকার লিটন মাস্টার। গত দেড় বছর পূর্বে শ্রীরামপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ আব্দুল আলিম ওরফে লিটন মাস্টার ১৭ শতক জমির উপর বাইকুনার, ও একুলা কালো জাতের অষ্টেলিয়ান মিষ্টি আঙ্গুরের চাষ শুরু করেন। আঙ্গুর চাষী লিটন মাস্টার জানান গত দেড় বছর পূর্বে সর্বপ্রথম এই এলাকায় আঙ্গুর চাষ আমি শুরু করি।আমার স্বপ্ন ছিল বাহিরের দেশ থেকে এই কালো জাতের মিস্টি আঙ্গুর আমদানি করে আনা হয় যা দেশের অর্থ বিদেশে চলে যায় । এই আঙ্গুর নিজ দেশে চাষ করে কিভাবে দেশের ফলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থ দেশেই রাখা যায়। যেই স্বপ্ন সেই কাজ। সর্বপ্রথম আমি বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরে ঘুরে চারা সংগ্রহ করি। এই বাগানে আঙ্গুরের মোট ১০০ টি চারা প্রতিটি ৫০০ পাঁচশত টাকা করে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করি।১৭ শতক জমির উপর ১০০ টি পিলারের টেবিল মাচা দিয়ে চারাগাছ গুলো পরিচর্যা করি। জৈব ও সামান্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করি। সামান্য পরিমানে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বছরে দুই বার এই আঙ্গুর ধরে। ১৭ শতক জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। প্রথম অবস্থায় প্রতি কেজি ৩ শত ৫০ টাকা করে বর্তমান বিক্রি করেছি।এখনো দেড় লক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।এখন থেকে দেশে ফলের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।
তিনি জানান এখান থেকে চারা যদি কেউ সংগ্রহ করতে চাই আমি দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সরকারি ভাবে যদি সহায়তা করা হয় তাহলে এখান থেকে বেকারত্ব দুর করে স্বাবলম্বী হওয়ার সম্ভবনায় বেশি। অ্যভোকাডো,ও জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন চাষও করা হয়েছে এখানে। যা তিনি অপার সম্ভাবণার মুখ দেখছেন।আশা করছেন এই চাষটি এলাকায় সাড়া জাগিয়ে তুলবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান এটা নতুন চাষ করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছেন লিটন মাস্টার।



Discussion about this post