স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় যানজট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকান ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ড্রেনেজ–ব্যবস্থা সচল না থাকায় পানি নিষ্কাশনও বাধা পাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিআরটিএ প্রকল্পের উন্নয়নকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসংলগ্ন এসব এলাকায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তার ওপর মহাসড়কে জল জমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এতে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বেশ কয়েকটি যানবাহন বিকল হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন পথে হাঁটাচলা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমন যানবাহন গর্তে আটকে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। জলাবদ্ধতার প্রভাবে আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোগরখাল এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে এখনই জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করার পাশাপাশি ড্রেনেজ–ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি।
চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় কথা হয় বাসচালক হায়দার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাওয়ায় মহাসড়কটির দুটি লেন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
ভোগড়া এলাকার বাসিন্দা ও কারখানার শ্রমিক হাবিবুর রহমান জানান, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি, উঠানে পানি উইঠ্যা গেছে। রান্নাঘরেও পানি জমে আছে, এ জন্য সকালে রান্নাবান্না হয়নি। এখন হোটেলে খেয়ে কাজে যাচ্ছি।’ নাসরিন আক্তার নামের আরেক কারখানাশ্রমিক জানান, তিনি সাধারণত পায়ে হেঁটে কারখানায় যান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সড়কগুলোয় পানি জমে আছে। তাই ভিজে ভিজেই কাজে যেতে হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, মোগরখাল দখল হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি সরে যেতে সময় লাগছে। এতে করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। দখল হওয়া মোগরখাল উদ্ধার করতে কাজ করা হচ্ছে।
একই কথা জানান গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম। তিনি বলেন, মহাসড়কের চান্দনা ও ভোগড়া এলাকার পানি মোগরখাল দিয়ে সরে যেত। সেই খাল বর্তমানে দখল করে সংকুচিত করে ফেলেছেন স্থানীয় লোকজন। ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও খালটি বড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পানি সরে যেতে সময় লাগছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫