
গাজীপুর প্রতিনিধি:- গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা খন্দকার আল আমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও মাদকসেবনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ছাত্রসমাজ ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আলামিন খন্দকার সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের স্থানীয় মৃত ইন্নছআলীর ছেলে। বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৫ মে এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় খন্দকার আল আমিন বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে অনেক নিরীহ মানুষও রয়েছেন। বক্তাদের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই মামলায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিনিময়ে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন করে আরও ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। পুলিশ জানায়, মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, হামলার ঘটনার খবর প্রথম ছড়িয়ে পড়ে এনসিপি’র অপর মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। তিনি জানান, গত ৪ মে সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী হাসনাতের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং হাসনাত আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র শ্রমিক জনতা কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন, গাজীপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন, মুখ্য সংগঠক রবিউল হাসান ও গাজীপুর সদর উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি সম্রাট। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা খন্দকার আল আমিনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভুয়া মামলায় নিরীহ মানুষদের অব্যাহতির দাবি জানান।



Discussion about this post