
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- সফলতার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তানিয়া আক্তার—নন-গভার্নমেন্ট টিচার্স’ রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড সার্টিফিকেশন অথরিটি (NTRCA) কর্তৃক আয়োজিত ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় “পলিটিক্যাল সায়েন্স” বিষয়ের একজন প্রার্থী হিসেবে উত্তীর্ণ হয়ে প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। তানিয়া আক্তার, পিতা আলী সোবান ও মাতা মমতার কন্যা, পাঁচ ভাই-বোনের একটি সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের গর্বিত সন্তান। এক নিবেদিত প্রাণ শিক্ষার্থীর জীবন যাত্রা আজ পরিণত হয়েছে একটি অনন্য অধ্যায়ে। তানিয়ার বড় ভাই, সাংবাদিক শেখ মামুনুর রশিদ মামুন এ সাফল্যের খবরটি জানিয়ে বলেন-“আজ আমাদের পরিবারের গর্ব—তানিয়া। তার অদম্য সাধনা, পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফল আজ হাতে এসেছে। সে একজন শিক্ষক হিসেবে সমাজকে আলোকিত করার যাত্রায় যেভাবে পা রাখলো, তা আমাদের সবার জন্যই এক অনুপ্রেরণা। “তিনি আরও বলেন, “আমি নিজে পরিবারের বড় সন্তান হলেও, তানিয়ার পড়াশোনার প্রতি নিষ্ঠা ছিল তুলনাহীন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ সে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এখন তার সামনে আরও বড় দায়িত্ব—জ্ঞান বিতরণ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা।” বর্তমান সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাবী ও মানবিক শিক্ষক প্রয়োজন—যারা কেবল পাঠ্যবইয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকবেন না, বরং শিক্ষার্থীদের জীবনবোধ ও মূল্যবোধেও আলোকিত করবেন। তানিয়ার এই অর্জন সেই আশার প্রতীক।
উল্লেখ্য, ১৮তম NTRCA চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের ৪ জুন। হাজারো প্রতিযোগীর মধ্য থেকে প্রভাষক পদে নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিতভাবেই তানিয়ার অধ্যবসায়ের অনন্য স্বীকৃতি। তানিয়ার এই সাফল্য কেবল তার পরিবারের জন্যই নয়, সমগ্র সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ। একজন নারী শিক্ষার্থীর এ ধরনের কৃতিত্ব প্রমাণ করে—সঠিক দিকনির্দেশনা, চেষ্টার দৃঢ়তা ও পরিবারের সহানুভূতিশীল ভূমিকা মিললে যেকোনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।
তানিয়া আক্তার, তুমি এগিয়ে যাও—তুমি আলোর পথের দিশারি।



Discussion about this post