
ঝিনাইদহ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল কবির গামা:- ঝিনাইদহ শহরের কেপি বসু সড়কে রেখা বস্ত্র বিতানের মালিক সুনীল জোয়ারদারের একমাত্র ছেলে সুদীপ জোয়ারদারের আ-ত্ম-হ-ত্যা নিয়ে রিতিমত শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুদীপের আ-ত্ম-হ-ত্যা-র এই খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শোকে ভারি হয়ে উঠেছে। প্রায় ২০/২২ বছর মা হারা ছেলেটি সৎ মায়ের সংসারে অতি অবহেলিত ছিল মনে করে, শুভাকাঙ্খীরা এই মৃ-ত্যু-র সঠিক তদন্ত চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কারো কারো দাবী সম্প্রতি বেশকিছু জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে সুদীপ সুচিকিৎসার অভাবে ভুগছিলেন।
এদিকে মা মারা যাওয়ার পর একটি ছেলেসহ দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাবা সুনীল। ঐ ছেলেটির নাম সিলন জোয়ারদার। পরিবারে সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের এতো এতো তফাৎ থাকলে সেই পরিবারের একমাত্র ছেলের জীবন কতটা ঝুঁকি মুক্ত তা নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পরিবারের মধ্যে কোন ঝামেলা ছিলো কি না তা নিয়েও রয়েছে মতপার্থক্য । সবমিলিয়ে সুদীপের আ-ত্ম-হ-ত্যা-র বিষয়টি কেউ সাধারণভাবে মেনে নিতে পারছে না। তাছাড়া গণমাধ্যম কর্মিরা ঘটনা তদন্ত করে যেসব ছবি / ভিডিও ধারণ করেন তাতে স্পষ্টই প্রতীয়মাণ হয়,এটা কোনো ভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না।
জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সুদীপ গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুঁ-লে ছিল। সুদীপের চাচী স্বপন জোয়ারদার এর স্ত্রী কে,পি,বসু সড়কের তিনতলা বিশিষ্ট নিজ বাসার টপ ফ্লোরে থাকা তার মেয়েকে খাবার খেতে ডাকতে যায়। এসময় একই ফ্লোরের আরেকটি রুমে থাকা সুদীপকে খাবার খেতে ডাকতে যেয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে। পরে পরিবারের লোকদের ডেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ-ত ঘোষণা করেন। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত রোববার দুপুরের দিকে তাকে পোস্টমর্টেম করার জন্য মর্গে নিতে দেখা গেছে। মর্গে দেখতে যাওয়া সুদীপের শুভাকাঙ্ক্ষী দাবি করা একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সুদীপ খুব ভালো মনের একজন মানুষ ছিল। সে আ-ত্ম-হ-ত্যা-র প্ররোচনায় পড়বে এমন কোন ঘটনা কোনোদিন তাদের কাছে শেয়ার করেনি সুদীপ। যে কারণে তারা এই আ-ত্ম-হ-ত্যা-র বিষয়টি সাধারণ ভাবে মেনে নিতে পারছেন না। এই অ-না-কা-ঙ্ক্ষি-ত ঘটনার মধ্যে কোন কারণ আছে কিনা, তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা জানতে চায়।
এবিষয়ে সুদীপের দ্বিতীয় মায়ের ছেলে সিলন গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি বরং এতো সব কান্নাকাটির ভিড়ে সুযোগ বুঝে সিলন পালিয়ে যায়। লাশ পোস্টমর্টেম শেষে বাড়িতে ফেরত আনলে মহিলাদের মধ্যে আরও একবার কান্নার রোল পড়ে, তখন সুদীপের সৎ মা / সিলনের মা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সন্দেহ আরও তীব্র হয়। সাংবাদিকরা সুদীপের চাচা স্বপন জোয়ারদার কে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন আ্যঙ্গেলে প্রশ্ন করলেও তিনি এই আত্মহত্যার কোন কারণ দেখাতে পারেনি। উপরন্তু লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন কোনোভাবেই আত্মহত্যার নমুনা প্রকাশ করে না বরং প্রিপ্লান মার্ডারের ঈঙ্গিত করে। এস,আই ইমরান এর দায়িত্বে লাশের সুরতহাল শেষে, ময়নাতদন্তের পরে ঝিনাইদহ ধাপাড়ি শ্মশানে সমাধিস্ত করা হয়। তদন্তের ফাইনাল রিপোর্ট আসলে সকল সন্দেহ, সমালোচনার অবসান ঘটবে। সুদীপের বন্ধু মহল এবং প্রতিবেশীরা মানব বন্ধনের করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি জানান। আগামীকাল বেলা ১১ টায় এই হত্যার বিচার চেয়ে আরো বড় আকারে মানব বন্ধনের ঘোষণা করেন।



Discussion about this post