আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোর সদর উপজেলার ২নং তেবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বিএডিসির লাইসেন্সকৃত মেসার্স ছামী ট্রেডার্স সরকারি বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছ। সরকারি ভাবে ডিলারদের সার বরাদ্দ দেওয়া হলেও সার নিতে গিয়ে ফেরত আসছে কৃষক। প্রতি মাসে এলাকাভেদে ফসলের ধরন এবং কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সরকার ডিলারদের মাঝে সার বরাদ্দ দিয়ে থাকেন।
জানা যায়,চলতি জুলাই মাসে সরকারি বরাদ্দকৃত ভুর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য টিএসপি ১২ বস্তা, এমওপি(পটাশ) ১৪০ বস্তা,ডিএপি ২২০ বস্তা সার বরাদ্দ পান মেসার্স ছামী টেডার্স।বরাদ্দকৃত সার উত্তোলনের পর কৃষকরা সারের জন্য গেলে সার নাই বলে জানান স্বত্বাধিকারী মোঃ শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও ফোনে সারের কথা জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। রুয়েরভাগ গ্রামের কৃষক মন্টু জানান,সারের বিষয় খোঁজ নিতে আমি শফিকুল ভাইকে ফোন করি, প্রথমে সার নাই বলে ফোন কেটে দেয় পরে আবার ফোন করলে অত্যান্ত বাজে ভাষা প্রয়োগ করে এবং বলে তিনি ফোনে কোন কথা বলতে পারবেন না। অন্য আরেক কৃষক দুলাল হোসেন জানান,শফিকুল ভাইকে যখনি সারের জন্য ফোন করি সে বলে সার নাই। তাহলে তার নামে বরাদ্দের সার কোথায় যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কৃষক জানায়,ডিলার শফিকুলের পছন্দের কৃষক ছাড়া তার কাছে কেউ সার পায়না।প্রতি মাসে সারের খোঁজ নিতে গেলে একই কথা বলে। প্রতিবেদক নিজে সারের জন্য ফোন করলে তাকে সার দিলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি নেয় এবং কোন বিক্রয় রশিদ দেয়না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিলার শফিকুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নীলীমা জাহানকে ফোনে জানানো হলে তিনি বলেন, বিএডিসির ডিলারদের বরাদ্দ কম,আপনি বিসিআইসি ডিলারের নিকট থেকে সার নেন।আমি বিষয়টি দেখছি।পরবর্তীতে তার সাক্ষাৎকারের জন্য অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুল ইসলাম খান বলেন,সারের জন্য কৃষকদের সাথে খারাপ আচরণ করা এবং বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের না দেবার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সরকার নিযুক্ত একজন ডিলার কৃষকদের সাথে এ ধরনের আচরণ করতে পারে না। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো এবং কৃষকরা যেন কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই সার পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।