
অভি খায়রুল ইসলাম, সাভার:- ঢাকার অদূরে, বংশী নদীর তীরে সবুজে ঘেরা, পাখির কলতানে মুখরিত এক স্বপ্নপুরীর নাম—‘নীলা বর্ষা রিভারকুইন পার্ক’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার মেলাবন্ধন আর নীরব শান্ত পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি, যা নির্মাণ করেছেন সমাজ সচেতন উদ্যোক্তা মোঃ বাবুল মিয়া। এই পার্কটি তিনি উৎসর্গ করেছেন বিশেষভাবে সাভারবাসীসহ সারা দেশের স্কুল-কলেজ, পরিবার, অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিকনিক ও আনন্দঘন ঘোরার উপযুক্ত স্থান হিসেবে। পার্কের প্রধান আকর্ষণসমূহ শান্তিপূর্ণ নদীঘেরাপ্রাকৃতিক পরিবেশ নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা পাখির কলতান ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বসার জন্য খোলা জায়গা আধুনিক খাবারের দোকান। নিরাপত্তা জন্য সিকিউরিটি গার্ড ও ২৪ ঘন্টা সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থাপনা রয়েছে প্রবেশ ফ্রি মাত্র ৫০ টাকা নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে ঘরোয়া পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় সুইমিং পুল। বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি রয়েছে হরিণ, ময়ূর উটপাখি ঘোড়া ইত্যাদি। এসময় মোঃ বাবুল মিয়া বলেন এই পার্ক শুধু একটি বিনোদনের স্থান নয়, বরং এটি একটি মানবিক উদ্যোগ। পুলিশ, সাংবাদিক ও অসহায় মানুষের জন্য প্রবেশ সম্পূর্ণ ফ্রি। আমি চাই, এই পার্কের নানান শ্রেণী পেশার মানুষ আসবেন এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। এখানে কোনোরকম অসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ নেই—সিকিউরিটি ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়।” তিনি আরও বলেন— “স্বপ্ন যদি হয় জনকল্যাণের, তা কখনও থেমে থাকে না। ‘নীলা বর্ষা রিভারকুইন পার্ক’ তারই একটি দৃষ্টান্ত উদাহরণ। প্রকৃতি, ভালোবাসা ও মানুষের আনন্দ—সব একত্রিত হয়ে এখানে সৃষ্টি হয়েছে এক অনন্য পরিবেশ। আমি সাভারবাসী-সহ সারা দেশের মানুষকে আহ্বান জানাই—একবার ঘুরে যান এই পার্কে। নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাবেন প্রকৃতির মাঝে,এটি আপনাদেরই পার্ক, আপনাদের জন্য গড়া।” নীলা বর্ষা রিভারকুইন পার্ক—শুধু একটি পার্ক নয়, এটি একটি অনুভব, এক টুকরো স্বপ্ন



Discussion about this post