
স্টাফ রিপোর্টার :- গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ুয়া এক ছাত্রকে নির্মমভাবে প্রহার করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত ছাত্রের পিতা বসির বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাদ্রার শিক্ষক হাফেজ মোঃ ইসরাফিল (২৫) ময়মনসিংহ সদর থানা এলাকার বাসিন্দা।অত্র মাদ্রাসায় বিগত চার মাস যাবত শিক্ষকতা করে আসছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় অবস্থিত মারকাজুত তাকওয়া মাদ্রাসায়। আহত ছাত্র মো. হোসাইন (১৩) তাহার পিতা মাতার সাথে মাদ্রাসার সভাপতির ভাড়া বাসায় থেকে ৬ বছর ধরে অত্র মাদ্রাসা পড়াশোনা করে আসছিল। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত ২৪ জুলাই সকাল ৬টার দিকে পড়ার সময় সবক সঠিকভাবে না পারায় শিক্ষক মো. ইসরাফিল ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়ে হোসাইনের দুই হাত, পা, পিঠসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এতে হোসাইন গুরুতর জখম হয় ও তার শরীরে রক্ত জমাট নীলাফুলা দাগ এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বাদি বসির তার ছেলের শারীরিক অবস্থা দেখে দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয়,এই ঘটনার বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত হলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অভিযোগ কারি এবং এই এলাকার বাসিন্দারা জানান,এই মাদ্রাসায় প্রায়ই ছাত্রদের এরকম অমানবিক ভাবে মারধর করা হয় এবং ছাত্রদের হুমকি ধামকি দেয়া হয় যাতে তাদের অভিভাবকদের অবগত না করা হয়।এমনকি হোসাইনকে যেদিন মারধর করা হয়েছিল সেই দিন আরো একটা ছেলেকেও নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের এবং এলাকাবাসী এরকম অমানবিক শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসরাফিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।তবে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জানান,আমি ঘটনাটি জানার পরে তাদেরকে নিয়ে পরের দিনেই বসতে চেয়েছিলাম কিন্তু কুমিল্লায় একটি জানাযায় অংশ গ্রহণ করার কারণে ঐদিন আর বসতে পারিনি।শুক্রবার তাদেরকে নিয়ে বসতে চাইলেও বসির তার ছেলেকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।তবে আমি এখনো চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য। অভিযোগের বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



Discussion about this post