
নিজস্ব প্রতিবেদক :- গাজীপুর মহানগরের পূবাইল মীরের বাজার চৌরাস্তায় গাজীপুর-৬ আসনের দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবিতে এক বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবাব বিকাল ৩ টায় গাজীপুর মহানগরের পূবাইল মিরের বাজার চৌরাস্তায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই মহাসমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই পূবাইল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের ঢলে সভাস্থল জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বিকাল ৩টা থেকে সর্বদলীয় ঐক্য সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি।সমাবেশ শেষে একটি মিছিল মিরের বাজার চৌরাস্তা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘাস-ফরিণ রেষ্টুরেন্টের সামনে এসে শেষ হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন অবহেলিত পূবাইলবাসীর আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হলো নতুন ঘোষিত গাজীপুর-৬ আসন। অথচ একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এ আসনকে আবার পূর্বের গাজীপুর-৫ আসনে ফিরিয়ে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অংশ হিসেবেই থাকতে চাই, কালীগঞ্জে যেতে চাই না। নেতারা আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণার ৫-৭ দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পূবাইলবাসী ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তারা। সমাবেশে উপস্থিত প্রধান অতিথি: সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আলহাজ্ব সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,পূবাইল গাজীপুর সিটিতে আছে আমাদের সাথে টঙ্গী ও গাজীপুর খুবই সন্নিকটে।মফস্বল এলাকা কালীগঞ্জ ৫-এ যেতে চাইনা।নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত যেন অটুট থাকে সেটাই প্রত্যাশা করি। সমাবেশের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪০ নং ওয়ার্ডের এ্যাড. নজরুল ইসলাম খান বিকি বলেন, এই এক দফা দাবি আমাদের পূবাইলবাসীর প্রাণের দাবি,এটা পূবাইল সর্বদলীয় ঐক্য সংগ্রামের দাবি।ওই সময় সভাস্থল থেকে শ্লোগান উঠে টঙ্গী না কালীগঞ্জ, টঙ্গী-টঙ্গী, পাঁচ না ছ্য়? ছয়-ছয়,ছয়,ছয়-ছয়। এসময় নজরুল ইসলাম খান বিকি আরও বলেন আগামী ২৬ তারিখে নির্বাচন কমিশনে শুনানির তারিখ তাই প্রিয় পূবাইলের স্বার্থে কেউ শুনানিতে যাবেন না।গাজীপুর ৬ আসন যদি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৬ না হয় তাহলে অধিকার আদায়ে পূবাইলবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আসন নিয়ে যারা “ছয়-নয়”করছে তাদের আশা পূরণ হওয়ার নয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উলামা পরিষদের সভাপতি, মাওলানা মুফতি সামসুউদ্দিন খন্দকার,পূবাইল থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক,আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, পূবাইল মেট্রো থানা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, এ্যাড. শামিম মৃধা, পূবাইল থানা বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক,মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ,এনসিপির মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ শরিফ প্রমুখ।



Discussion about this post