
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি:- স্থায়ী সংস্কারের অভাবে টঙ্গী কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও ছোট-খাটো গর্তের জন্য এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা ছোট বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে অটো রিক্সা সহ ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ। বৃষ্টির পানিতে সড়কে গর্ত ভরে গেলে সেই ভোগান্তি আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।পানির জন্য গর্তের মধ্যে গাড়ির চাকা পড়ে গিয়ে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ব্যস্ততম এই সড়কের টঙ্গী মরকুন শিক্ষা বোর্ড থেকে শিলমুন বাজার,নিমতলি রেল ক্রসিং,পুবাইল মিরের বাজার চৌরাস্তা,বসুগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুবাইল কলেজগেট রেল ক্রসিং, ও কাপাসিয়া মোড় এলাকার রাস্তার অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।খানাখন্দে ভরা সড়কের উপর ইটের সুরকিতে উল্টে যায় রিক্সা, অটোরিকশা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা ও ভ্যানের মত ছোটখাটো যানবাহন। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,রাস্তার গর্তের উপর দিয়ে যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে পার হচ্ছে এতে এ রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। যেখানে এই রাস্তা দিয়ে কালিগঞ্জ যেতে ৩০ মিনিটের সময় লাগতো তীব্র যানজটের ফলে সেখানে পৌঁছাতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে। সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবস মধ্যে বৃহস্পতিবার এই দুর্ভোগ আরো চরমে পৌঁছে যায়। স্থানীয়রা জানান,সড়ক ও জনপদ বিভাগ বিভিন্ন গর্তে ইট খোয়া বালি দিয়ে রিপেয়ারিং করলে ও তা স্থায়ী হচ্ছে না,বৃষ্টির পানিতে ইট বালু সরে গিয়ে রাস্তা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।ফলে রাস্তার চলাচলকারী সাধারণ জনগণ পড়ছে দুর্ভোগে। পুবাইল থেকে উত্তরা নিয়মিত অফিস কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত জানান। আমার অফিস সকাল ১০ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত, বর্তমানে রাস্তার বেহাল দশার কারণে সকাল আটটার সময় বাড়ি থেকে রওনা দিয়েও অনেক সময় সঠিক টাইমে অফিসে পৌঁছতে পারিনা একই অবস্থা অফিস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে।দ্রুতই রাস্তার স্থায়ী সংস্কার না হলে আমাদের অফিস করা কষ্ট হয়ে যাবে। ট্রাক চালক হামিদ মিয়া জানান এই সড়ক দিয়ে একবার যাতায়াত করলে গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়,এছাড়া জ্যাম তো আছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাজীপুরের উপসহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান জানান, এই সড়কে এর আগে একাধিকবার ইটা বালি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে।লাগাতার বৃষ্টির জন্য আমরা সড়কের সংস্কার কাজ করতে পারছি না। আজ থেকে এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা গুলোতে সংস্কার করা হবে। এ সময় তিনি আরও জানান বৃষ্টির জন্য বিটুমিন নষ্ট হয়ে যায় তাই স্থায়ীভাবে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।বৃষ্টি শেষ হলে টেন্ডার আহ্বান করে এ সড়কের স্থায়ী সংস্কার কাজ করা হবে।



Discussion about this post