প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ৪:০৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ৮:০১ পূর্বাহ্ণ
এনডিএল কোম্পানির কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:- গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানাধীন দক্ষিণ ছায়া বিথি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এনডিএল কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন ভবনের ৫তলা থেকে হঠাৎ করেই লিফটের কেরাশিপ ভেঙে পড়ে নিচে। সেই মুহূর্তেই নিচে থাকা শ্রমিক নাজমুল (৩৫) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। নিহত নাজমুল ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পিতা মৃত আবুল কাসেম। গাজীপুরের তেলীপাড়া এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে—এখন এই দুই অবুঝ সন্তানের চোখে বাবার শূন্যতা এক স্থায়ী অভিশাপ হয়ে রয়ে যাবে। নাজমুল ছিলেন এনডিএল কোম্পানির বিডিংয়ের ইট ভাঙার একজন শ্রমিক। তাঁর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই শ্রমজীবী পেশা। এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, এনডিএল কোম্পানির এই নির্মাণকাজে দীর্ঘদিন ধরেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। হেলমেট, হারনেস, অথবা প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার ছাড়াই প্রতিদিন মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতেন এই হতভাগ্য শ্রমিকরা। সেদিনও নাজমুলের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। যেন মৃত্যুর ফাঁদে পা দিয়ে এসেছিলেন কাজ করতে। কাজের জায়গায় সামান্যতম সেফটির ব্যবস্থা থাকলে হয়তো আজ বেঁচে যেতেন নাজমুল, ফিরে যেতে পারতেন সন্ধ্যায় ছোট্ট ছেলেমেয়ের মুখ দেখার আশায়। এনডিএল কোম্পানির এমন অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা প্রশ্ন তোলে—শ্রমিকের জীবনের মূল্য কি এতটাই তুচ্ছ? কেবলই বিল্ডিং উঠবে, কিন্তু কে উঠবে সেই বিল্ডিংয়ের ওপরে, আর কারা হারিয়ে যাবে মাটির নিচে—এ হিসাব যেন কেউ রাখে না। নাজমুলের মৃত্যু শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি নির্মম উদাহরণ, কিভাবে শ্রমিকের জীবন নিয়ে খেলা চলছে দিনের পর দিন, অথচ কেউ নেই দেখার বা জবাবদিহি করার। গাজিপুর সদর মেট্রো থামার এস আই মিজান ঘটনাস্থলে এসে মৃত্যু ব্যক্তির লাশ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে হস্তান্তর করেন। ওসি মেহেদী হাসান বলেন তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫
© সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত !! Email: [email protected]