স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সোমবার দিনব্যাপী একযোগে পালিত হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ, সবুজ ক্যাম্পাস গঠন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি এবং কৃষিশিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে বিবেচিত। কর্মসূচি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং সংশ্লিষ্ট হলসমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৬টি হলে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়ে যথাক্রমে নতুন ছাত্রী হল, ইলা মিত্র হল, বেগম রোকেয়া হল, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল এবং নতুন ছাত্র হলে শেষ হয়। প্রতিটি হলেই উন্নত জাতের বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ দিবস কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভী, কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মোঃ আবিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, প্রক্টর, স্ব-স্ব হলের প্রভোস্টবৃন্দ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। বনভূমি ধ্বংস, কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে পৃথিবীর প্রাণবৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। এই প্রেক্ষাপটে বৃক্ষরোপণ শুধু একটি সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ নয় , এটি জীবনের প্রতীক, পরিবেশ রক্ষার এক শক্তিশালী হাতিয়ার। ভাইস-চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, হলগুলো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। এখান থেকেই ভবিষ্যতের কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা উঠে আসবে। যদি তাদের আবাসস্থল সবুজে ঘেরা, নির্মল পরিবেশে গড়ে ওঠে, তাহলে তাদের চিন্তা, চেতনা ও সৃজনশীলতাও পরিবেশবান্ধব হবে।
উল্লেখ্য যে, জুলাই’২৪ গণঅভ্যুত্থান এর গৌরবময় স্মৃতি ও চেতনাকে চির অম্লান করে রাখতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যানের আলোকে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভেষজ ও ফুল জাতীয় বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।