প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ২:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
টঙ্গীর প্রভাবশালী ইঞ্জি: হাসান আলীর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার নিশাতনগরের গৃহবধূ হাফেজা রহিমা খাতুন এক মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয়ে ন্যায়বিচারের আকুতি জানিয়েছেন। রোববার সকালে ১১ টায় জয়দেবপুর হাবিবউল্লাহ স্মরণীর ইকবাল কুটিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্যে এসব বলেন। তিনি বলেন চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চেরাগ আলী সুরতঙ্গ রোডে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় প্রভাবশালী ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসান আলীসহ একদল দুর্বৃত্ত আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে জোরপূর্বক গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে আমার স্বামীকে তাড়িয়ে দিয়ে তারা একত্রিত হয়ে আমার উপর শ্লীলতাহানি চালায়, নির্মমভাবে মারধর করে এবং পেটে লাথি মেরে আমার গর্ভের আড়াই মাসের সন্তান হত্যা করে। রহিমা খাতুনের অভিযোগ, এসময় হামলাকারীরা তার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যক্তিগত সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। এমনকি তাকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষর নিতে চায়। রাজি না হওয়ায় গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়দের চিৎকারে পুলিশ ৯৯৯ কলের মাধ্যমে রাত আনুমানিক দেড়টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সংবাদ সম্মেলনে রহিমা অভিযোগ করেন, পুলিশ ওসি ইস্কান্দার আলী ও এসআই শরীফ আমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে বাধ্য করে। কিন্তু তারা আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেনি। প্রভাবশালীদের চাপে টঙ্গী পশ্চিম থানায় থানায় মামলা হয়নি। বরং উল্টো আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের সামনে কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন, আমি শুধু একজন নারী নই, আমি মা হতে যাচ্ছিলাম। আমার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। আমি শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই, আমি বিচার চাই। তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের নিকট ৩ দফা দাবি জানান- অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসান আলীসহ জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে ও ভবিষ্যতে তার পরিবারকে কোন প্রকার হয়রানি বা মিথ্যা মামলায় জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, রহিমা খাতুনের মতো একজন অসহায় নারী যখন থানায় গিয়েও ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না, তখন তা গোটা সমাজের জন্য লজ্জাজনক। তারা বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি সবার প্রশ্ন— রহিমা খাতুন কি ন্যায়বিচার পাবেন?
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫
© সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত !! Email: [email protected]