
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: টঙ্গীতে ফেমাস কেমিক্যালের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দ্বগ্ধ দোকান কর্মচারী আল আমিন বাবু হাওলাদার (২০) ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত আল আমিন বাবু হাওলাদার টঙ্গী নতুন বাজার এলাকার রতন হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঘটনাস্থল সাহারা মার্কেটের লিটন মিয়ার রঙের দোকানে কর্মচারী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল। টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন মিয়া ও দোকান মালিক সাইফুল ইসলাম লিটন মিয়া মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। সাইফুল ইসলাম লিটন মিয়া জানান, আল আমিন বাবু হাওলাদার সাহারা মার্কেটের নিচে আমার রঙের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি অগ্নিদ্বগ্ধ হয়। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। টঙ্গী জংশন রেলওয়ে কোয়ার্টারে থাকতেন আল আমিন বাবু।
গত ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল সোয়া ৩টায় টঙ্গী বিসিকের রেল স্টেশন রোডের পাশে সাহারা মার্কেট টিনশেড সেমিপাকা ভবনে অবস্থিত ফেমাস কেমিক্যালের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের ৫৩ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন ও স্থানীয় একজনসহ ৫ জন অগ্নিদ্বগ্ধসহ ৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যান। বুধবার ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার মৃত্যু হয়। আজ দোকান কর্মচারী বাবু হাওলাদার মারা গেলেন। এই আগুনের ঘটনায় দ্বগ্ধ হয়েছিলেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জান্নাতুল নাঈম (৪৩) ৪২ শতাংশ, ফায়ার ফাইটার মো. শামীম (৪৫) ১০০ শতাংশ, মো. নুরুল হুদা (৪৫) ১০০ শতাংশ, ও মো. জয় হাসান (২৫) ৫ শতাংশ ও দোকান কর্মচারী বাবু হাওলাদার (২০), ৮০ শতাংশ ভাগ। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেলেন। আহত হয়ে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম (৪২), পথচারী আশিক (১৭) ও দোকান মালিক লিটন (৪০)।



Discussion about this post