
আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি:- মালিক শ্রমিক দ্বন্দে হঠাৎ করে ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী এবং শ্রমজীবী মানুষেরা। বিকল্প হিসেবে কেউ কেউ বগুড়া. সিরাজগঞ্জ. ও বনপাড়া হাটিকুমরুল গিয়ে দুরর্বতী বাসে উঠছেন। তবে নাটোর-রাজশাহী থেকে শুধু ছেড়ে যাচ্ছে মহাখালীভিত্তিক একতা ট্রান্সপোর্ট। আধাঘণ্টা পরপর বাস ছাড়লেও চাহিদামত যাত্রীদের মিলছে না টিকিট। দূর্গা পূজার ছুটির আগে হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন বিকল্প পথ হিসাবে ট্রেন ও লোকাল বাস। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর থেকে ঢাকা রুটে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শ্রমিকরা। সবশেষ কর্মবিরতিতে মালিকরা তাদের দাবি মেনে নিলে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু মালিকরা মেনে নেওয়া বেতন দিতে ইচ্ছুক না থাকায় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। নাটোর শহরের হরিশপুর বাসটার্মিনালে গিয়ে জানা যায়. বাসে ওঠার জন্য ঢাকা, কুমিল্লা ও চিটাগাং যাওয়ার জন্য টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন নারী-শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী যাত্রীরা। ঢাকায় কর্মরত একযাত্রী বলেন, তিনি একটি কোম্পনীতে কাজ করেন, এর আগে কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে যেতে পারেন নাই, টাকা ফেরৎ দিয়েছিল অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করলেও কাউন্টারে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন বিকল্প হিসাবে লোকাল বাসে যেতে হবে। ঢাকাগামী এক পোশাককর্মী বলেন, গত কালকে‘ ঢাকায় যাওয়ার জন্য এসে ফিরে গেছেন। আজ আবারও এসেছেন তিনি, এখন দেখছেন গাড়ী বন্ধ। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পরিবহণ শ্রমিকদের তথ্যমতে জানা যায়, রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রতি ট্রিপে একজন চালক এক হাজার ২৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী ৪০০ টাকা পেতেন। সম্প্রতি শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি তুললে দুই দফায় বাস চলাচল বন্ধ হয়। এ পরিস্থিতি নিরসনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষ বৈঠক করে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, চালকরা এক হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজাররা ৭৫০ টাকা এবং সহকারীরা ৭০০ টাকা করে পাবেন। গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন বেতন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মালিকপক্ষ বেশি বেতন দিতে রাজি নয় জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাস বন্ধের ঘোষণা দেন। পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টা ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরেও স্থানীয় ভাবে লোকাল বাস বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এছারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাতে বিষয়টি পৌছে সে ব্যাপারে তিনি কাজ করবেন।



Discussion about this post