
আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- দীর্ঘদিনের প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী শাঁখা শিল্প এখন নতুন পরিচয়ের পথে—ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেতে চলেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর গ্রামে তৈরি শাঁখা। ইতিমধ্যে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেতে প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করেছে নাটোর জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সময়ের তুলনায় পূজার মৌসুমে শাঁখার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।এসময় প্রত্যেক বিবাহিত হিন্দু নারীরা নতুন শাঁখা কেনেন। ফলে দিন-রাত পরিশ্রম করে চাহিদার যোগান দেন স্থানীয় শাঁখাপল্লীর প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার। তারা ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে কাঁচামাল এনে তৈরি করছেন নানা রকম শাঁখা।পাকা শাঁখা, সাদা শাঁখা, সোনা শাঁখা, পাথর শাঁখা, কড়ি শাঁখা, মোটা ও চিকন শাঁখা, মান্তরা শাঁখা ইত্যাদি। ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ১৬১০ সালে ঢাকায় ইসলাম খাঁর আমলে শঙ্খশিল্পীরা বাখেরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন এবং পরে নাটোরের জামনগরে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। সেই থেকেই গড়ে ওঠে এই শিল্পের ঘাঁটি, যা আজও অব্যাহত আছে। জিআই স্বীকৃতি পেলে জামনগরের শাঁখা পাবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি সেই সাথে নাটোর জেলাকে আরোও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই শিল্প এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কারিগররা। এ বিষয়ে নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন,শাঁখা শিল্পকে জিআই পণ্যের তালিকাভুক্তির জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করা হয়েছে। আশা করছি খু্ব শীগ্রই নাটোরের শাঁখা শিল্প জিআই পণ্যের স্বকৃীতী পাবে।এতে করে নাটোর জেলার পরিচিতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।



Discussion about this post