
জসিম উদ্দিন, সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:- সোনারগাঁওয়ে উন্নয়ন তহবিলের কয়েক কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ, তথ্য অধিকার আইনেও মিলছে না সঠিক তথ্য উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড। গত অর্থবছরে ADP ও UDF ফান্ড হতে PIC করণের মাধ্যমে কতগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, কত টাকার কাজ হয়েছে—সে বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আবেদন করেও সাংবাদিকরা গত ৬ মাসে কোনো তথ্য পাননি। আইন অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে ৭ মাস চললেও সোনারগাঁ উপজেলা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান সাংবাদিকদের আবেদন উপেক্ষা করে চলেছে। উল্টো যারা তথ্য অধিকার ফরম পূরণ করেছেন, সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই চলছে নানা ষড়যন্ত্র। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত এক বছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নামে ফান্ড এনে অধিকাংশ কাজ নামমাত্র করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কোনো কাজই হয়নি। অথচ ফাইলপত্রে এসব কাজ দেখানো হয়েছে সম্পন্ন। অভিযোগ উঠেছে, এভাবে অন্তত কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উপজেলায় বর্তমানে কোনো জনপ্রতিনিধি ও পৌরসভার মেয়র না থাকায় প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে উন্নয়ন ফান্ডে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ নেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠেছে। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ১৬৩৭০/২৪ এর আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকা সত্যেও বিবাদীদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে সাংবিধানিক আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করছেননা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান এমনই অভিযোগ করেন সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাদি রুহুল আমিন। তিনি জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হলেও তিনি ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সচেতন মহল বলছে, সাংবাদিকদের নীরব বা বিভ্রান্ত করে রেখে যদি কোটি কোটি টাকার ফান্ড লুটপাট হয়, তবে তা সোনারগাঁবাসীর সঙ্গে নির্মম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এ অর্থ জনগণের করের টাকা, তাই এর হিসাব জনগণ জানবে—এটাই আইনগত ও নৈতিক অধিকার। প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য দেননি। সোনারগাঁবাসী প্রশ্ন রাখছে—এত বড় দুর্নীতির অভিযোগের কোনো অনুসন্ধান কি শুরু হবে না?



Discussion about this post