
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর বাজার সংলগ্ন একটি অবৈধ পেট্রোল পাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওইদিন কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অভিযানে অংশ নেন— মোহাম্মদ ইশরাক উদ্দিন, সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক; জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিনিধি, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড; মো. সালাউদ্দিন, প্রতিনিধি, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড; মো. আনোয়ার হোসেন, প্রতিনিধি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড; এবং মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং বিভাগ), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট পেট্রোল পাম্পের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে তেলের মান পরীক্ষায় নিম্নমানের তেল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নমুনা সংগ্রহ করে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান এবং মোছলেকা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এ সময় ওই পাম্পের মালিকের ভাই, স্থানীয় যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক, তেলের নমুনা নিতে বাধা দেন ও জনতাকে উসকে দেন। তার প্ররোচনায় উপস্থিত কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং “ভুয়া ভুয়া” বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায় এবং অন্য একটি গাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এই অবস্থান করেন। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অফিসার ইনচার্জ দুজনই সমন্বিত ভাবে বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নথি, মালামাল ও নগদ টাকা জব্দ করেন এবং যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুককে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।



Discussion about this post