
মোঃ ফজলুল কবির গামা, বিশেষ প্রতিনিধি:- ঝিনাইদহ পৌরসভাধীন গোপীনাথপুর গ্রামের গত ১২/১০/২০২৫ তারিখ হাইওয়ে রাস্তার পাশে মোঃ লাল মিয়া এর কাঠের দোকানের মধ্যে চৌকির নিচে লুকানো অবস্থায় গৃহবধূ তাসলিমা খাতুন (৪০) এর মৃতদেহের চুল দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঠের দোকানের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে চৌকির নিচে লুকায়িত ভিকটিম তাসলিমা খাতুনের মৃতদেহ মুখ ও গলায় পুরাতন টাই বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মৃত গৃহবধূ তাসলিমার ছেলে মোঃ কিশোর রাজন (২১) বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা নং-১১, তারিখ -১৩/১০/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪/২০১ পেনাল কোড।
মামলাটির তদন্তভার এসআই (নিঃ) রাজিব আলীর উপর অর্পণ করা হয়। উক্ত হত্যার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হলে এলাকার জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপার ঝিনাইদহ মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সংশ্লিষ্ট আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সদর থানা পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ঝিনাইদহের টিমকে নির্দেশ প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় হত্যার ঘটনা সংক্রান্তে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রাজিব আলী সঙ্গে অফিসার ও ফোর্স সহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রদত্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৪/১০/২৫ তারিখে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন চাঁদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক ভিকটিমের স্বামী, আসামি মোঃ লাল মিয়া (৪৫), পিতা- আবুল হাসান মন্ডল, সাং-গোপিনাথপুর, থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা – ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তাসলিমা খাতুন এর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করে কাঠের দোকানের মধ্যে লুকিয়ে রেখে তার স্ত্রীর ব্যবহৃত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামির প্রদত্ত স্বীকারোক্তি মোতাবেক মৃত তাসলিমার ব্যবহৃত স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ। কানের দুল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। মামলাটি তদন্তধীন।



Discussion about this post