প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ৬:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ণ
নাটোর- ৩ আসনে বিএনপির গ্রীণ সিগন্যাল পেলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের চাচা শ্বশুর

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোর-৩(সিংড়া) আসনে বিএনপি থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু। গত ১২ অক্টোবর রাতে মুঠোফোনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি ও তার অনুসারীরা। এদিকে আনোয়ারুল ইসলাম আনু আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আপন চাচা শ্বশুর। তিনি জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার আপন চাচা। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য। এর আগে তিনি সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক হিসেবে কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে গ্রীণ সিগন্যালের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে সিংড়া উপজেলার বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ, আনোয়ারুল ইসলাম আনু দলের জন্য কিছুই করেননি। দলে তার কোনো অবদান নেই। বিগত ১৭ বছরে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কোনো মামলা হয়নি, জেল খাটেননি। এসি রুমে বসে জীবনযাপন করা ব্যক্তি কিভাবে বিএনপির গ্রীন সিগন্যাল পায়? আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রভাবে তার নামে কোনো মামলা হয়নি। সেরকম একজন ব্যক্তিকে সিংড়াবাসী ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মানবে না। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক ও নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দাউদার মাহমুদ জানান, গ্রীন সিগন্যালের বিষয়টি আমি জানিনা। বিএনপি থেকে তাকে (আনু) গ্রীণ সিগন্যাল দিলে আমাকে অবশ্যই রেড সিগন্যাল দেবে। দল থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কোন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। আমি বিএনপির একজন আদর্শিক সৈনিক হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব যে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের জন্য আমরা সেভাবেই কাজ করব। জেলা বিএনপির সদস্য ও নাটোর- ৩ (সিংড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ারুল ইসলাম আনু গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দল এবং আত্নীয়তা অন্য জিনিস। আত্নীয়তা থাকতেই পারে, সেটি বিষয় নয়। আমি দলের জন্য কি করি সেটিই বড় বিষয়। আমি যখন থেকে বিএনপির রাজনীতি করি, তখন অনেকের জন্মই হয়নি। মূখরোচক এসব কথা ভিত্তিহীন। দলের জন্য কাজ করে গেছি, কাজ করে যাব। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা মেনে নিয়েই কাজ করব। এছাড়া শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন আমি পাব বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ভুমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, দল এবং আত্নীয়তা ভিন্ন জিনিস। দলের জন্য কারো অবদান থাকলে, নেতাকর্মীরা এবং দল কাউকে যোগ্য মনে করলে দল তাকে গ্রীণ সিগন্যাল দিতেই পারে। এক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই নেতাকর্মীরা মেনে নেবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫
© সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত !! Email: [email protected]