
ইস্টাফ রিপোর্টার গাজীপুরঃ যেগাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন সদর মেট্রো থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট মো. সাদেকুজ্জামান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতারা অভিযোগ করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামোকে পাশ কাটিয়ে প্রশাসককে ম্যানেজ করে এককভাবে মেকানিক্যাল, বিদ্যুৎ, পানি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এই সুযোগে তিনি ঘনিষ্ঠ প্রকৌশলীদের সাথে মিলে যানবাহনের যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু নিধনের ওষুধ বিতরণ, ডিপোর পাথর, খাল খনন ও পরিছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপ¯ি’ত ছিলেন হেফাজতে ইসলামে গাজীপুর জেলার যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম বিএসসি, বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী ফোরামের নেতা ও প্রভাষক আসাদুজ্জামান আকাশ, গাজীপুর সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ।
নেতারা আরও অভিযোগ করেন, প্রকৌশলী সুদীপ বসাক দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশনে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন এবং প্রশাসকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। তার অধীনে থাকা প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন সহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা নানাভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষোভকারীরা “দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী হটাও”, “জনসম্পদ লুটেরাদের বিচার চাই”, “সুদীপ বসাকের অপসারণ করো”— এমন নানা ধরনের স্লোগান দেন।
সমাবেশে হুশিয়ারি উ”চারণ করে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি অবিলম্বে সুদীপ বসাক ও তার সহযোগীদের প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা না হয়, তাহলে আমরা আরও বড় আন্দোলনের ডাক দিবো। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ফটক অবরোধসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তারা দাবি করেন, প্রকৌশলী অবিলম্বে সুদীপ বসাক ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা, সিটি কর্পোরেশনে স্ব”ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতির শিকার বিভাগগুলোর পুনর্গঠন ও তদারকি জোরদার করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের চলমান কর্মকাণ্ডে অচলাব¯’া তৈরি হতে পারে, যা নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়াবে।



Discussion about this post