
গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ উঠেছে নগরীর কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. সাদিকুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খন্দকার আবুল হাসনাত এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খন্দকার আবুল হাসনাত গাজীপুর মহানগরের গজারিয়া পাড়া এলাকায় টাইগার ব্রডব্যান্ড ও ড্রিম হেভেন রেস্টুরেন্ট নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান, তার সহযোগী মামুন, আরমান, আকাশ, মনির ও শামীমসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে রাজেন্দ্রপুর এলাকার ড্রিম হেভেন রেস্টুরেন্টে মোটরসাইকেলযোগে আসা ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীকেz খুঁজে না পেয়ে তার ছোট ভাই রাকিব (২৮) ও ভাতিজা শিমুল (২৫)-কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাদের বাংলাবাজার পুরান বাজার এলাকার একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সাদিকুরের নির্দেশে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটানো হয়। এমনকি তাদের গলা চেপে ধরে হত্যারও চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে আহত রাকিব ও শিমুল স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। হামলার সময় হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে যায়, চাঁদার টাকা না দিলে এলাকায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে খুন করে ফেলব।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খন্দকার আবুল হাসনাত বলেন, সাদিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে চাঁদা দাবি করে আসছে। টাকা না দেওয়ায় আমার পরিবারকে আক্রমণ করেছে। এখনো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এসব ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. সাদিকুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী হাসনাত ওরফে সজীব আমার পরিচিত। প্রতিদিনই কথা হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে আপনার ছবি দেখা গেছে এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ১০-১২টা মোটরসাইকেল নিয়ে যেতেই পারি।
অভিযুক্তের বক্তব্য নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই গাজীপুর মহানগরের ২২নং ওয়ার্ড বাংলাবাজার জাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকার মো. রিপন সরকার নামের এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। তিনি বলেন, এখন আগের সময় নাই, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। আপনি কোথায় আছেন বলেন, এখনই আসতেছি। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলার হুমকিও দেন তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান (পিপিএম) বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। তবে খোঁজ নিচ্ছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



Discussion about this post