
গাজীপুর প্রতিনিধি :- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তিনি নিজে বাদি হয়ে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আফজাল হোসেন ও শহীদুল ইসলাম স্বপন নামে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। পরে শওকত হোসেন সরকার গাজীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে করা অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, তার সাফল্য ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মূলত তার ছেলের গাড়ির শো রুম থেকে গাড়ি কেনার টাকা লেনদেনের বিষয়টি গোপনে ভিডিও ধারণ করে আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। আর এটি তার ফেসবুক আইডি থেকে তাকে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের এ হীন অপপ্রচারের কারণে মানহানি হওয়ায় আদালতে হাজির হয়ে ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যম তিনি ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত হোসেন সরকার বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কুৎসা রটনার অংশ হিসেবে আফজাল, শহীদুল ইসলাম স্বপনসহ ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে তিনি প্রার্থী হতে না পারেন সেজন্য এই অপপ্রচার। তবে সৎ সাহস আছে বলেই তিনি আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ আনা বিভিন্ন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। এসময় শওকত হোসেন সরকারের আইনজীবী আব্দুস সালাম বলেন, শওকত হোসেন সরকার আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আফজাল হোসেন ও শহীদুল ইসলাম স্বপনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক কাশিমপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



Discussion about this post