
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার ঐক্য, উৎকর্ষতা এবং অগ্রগতির একটি প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা এবং নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত। আজ রোববার গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজারে অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ৩৭তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইইউটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওআইসির রাষ্ট্রদূত ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আফতাব আহমেদ খোকা। আইইউটির গভর্নিং বোর্ডের সদস্য রাষ্ট্রদূত আদম বাগুদু জাকারি (বেনিন), মাহামাত সালেহ আলজাজুলি (চাঁদ), ওআইসির মিসেস আইদা তুমি (তিউনিসিয়া), পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনার মি. মুহাম্মদ ওয়াসিফ, ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত মি. জিয়াদ আল হাসাল, ইন্দোনেশিয়ার মি. সাহিদ নুরকারিম ও মিস ধাউরানা আতিকাহ দেবী, লিবিয়ার মি. গাসসান এমএ মিসউরিসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় কূটনীতিক, অনুষদ সদস্য এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ১৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের ৫২২ জন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অসামান্য শিক্ষাগত উৎকর্ষতার জন্য ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়কে ওআইসি স্বর্ণপদক এবং মো. রহিব-বিন-হোসেন, নাবা উদ্দিন, মো. মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, মিসেস রামিশা সালসাবিল, মিসেস মোস্তফা নোসিন নাহার স্মিতা, মিসেস সামিয়া নওশীন এবং সাজিদুর রহমান চৌধুরীকে আইইউটি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়েছে। তাদের অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের তাদের কৃতিত্বের জন্য প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে উৎকর্ষতার প্রতি আইইউটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটকাম-ভিত্তিক শিক্ষার (ওবিই) সফল বাস্তবায়ন এবং কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৬-এ এর অন্তর্ভুক্তির কথা তুলে ধরেন।



Discussion about this post