
নিজস্ব প্রতিবেদক :: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ‘দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ’ আসর। টুর্নামেন্ট আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে আয়োজক বাংলাদেশ। প্রস্তুত লড়াইয়ের মঞ্চ মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম। আসরে অংশ নিতে দলগুলো দুদিন আগেই ঢাকায় পা রেখেছে। আগামীকাল থেকে ময়দানি লড়াই শুরু হবে। প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২৪ নভেম্বর।
রোববার (১৬ নভেম্বর) নারী বিশ্বকাপ কাবাডি-মেগা এই ইভেন্ট সামনে রেখে ট্রফি উন্মোচন করা হয়। ১১ দেশের অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাসভবন যমুনায় বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ যেকোনো পর্যায়ের কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদযাপনের অংশ হিসেবে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম আসর হয়েছিল ভারতের পাটনায়, ২০১২ সালের ১ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত। সেই আসরে ভারত ফাইনালে ইরানকে ২৫-১৯ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১৬ দেশ চার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সেই আসরে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ ‘সি’ গ্রুপে থেকে অপরাজিত থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। জাপানের কাছে ১৫ থেকে ১৭ পয়েন্টে হেরে শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান; আসরে লাল-সবুজরা ছিল পঞ্চম স্থানে। ঘরের মাঠে এবার পদক জেতার কথা বলেছেন বাংলাদেশের কোচ আরদুজ্জামান মুন্সি এবং অধিনায়ক রুপালী আক্তার।
ট্রফি উন্মোচনের পাশাপাশি গ্রুপিং হয়ে গেছে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে লড়বে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জার্মানি। অন্যদিকে ৬ দেশ নিয়ে সাজানো ‘বি’ গ্রুপ। যেখানে রয়েছে ইরান, নেপাল, চাইনিজ তাইপে, পোল্যান্ড, কেনিয়া এবং জাঞ্জিবার।



Discussion about this post