
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গাজীপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমির ড্রেন দখল করে নতুন সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এলাকা বাসির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাওয়ালগড়ের শিরিরচালা গ্রামের প্রভাবশালি মহলের বিরুদ্ধে। গাজীপুর প্রতিনিধি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের শিরিরচালা এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর নির্মিত ড্রেন দখল, অবৈধ সংযোগ প্রদান এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষই থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয়রা জানান, মৃত শাহজাহান প্রধান ২০০৮ সালে নিজস্ব জমির ওপর দিয়ে এলাকার ময়লা নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন নির্মাণ করেন। এতে পূর্ব থেকেই প্রায় ২৫টি বাড়ির সংযোগ ছিল।
অভিযোগ উঠেছে—সম্প্রতি এই ড্রেনে নতুন সংযোগ দেওয়ার কথা বলে এলাকার জাহাঙ্গীর, কাশেম ও হোসেন মাদবর নামে তিন ব্যক্তি প্রতিটি বাড়ির কাছ থেকে ৩০–৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন। উলিউল্লাহ ও মোস্তফা নামে দুই বাসিন্দা জানান, তাদের কাছ থেকেও ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শাহজাহান প্রধানের ছেলে সাকিব প্রধান অভিযোগ করেন, বাবার মৃত্যুর পর থেকেই এলাকার কয়েকজন কুচক্রি মহল আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বাবার করা ড্রেন থেকে অর্থ আদায়ে বাধা দেওয়ায় আমাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় এবং প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে আমার ওয়াইফাই–ডিস (ব্রডব্যান্ড) ব্যবসার তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তার দাদি নূরজাহান বেগম এ ঘটনায় হোতাপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং পরিবারকে হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সাকিবের বড় চাচা জানায়, তাদেরকে টাকা নেওয়া থেকে বিরত করে বাধা প্রদান ও প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়তে হয় বলেও তারা দাবি করেন। এই অবস্থায় তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম পক্ষও ১২ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হামলা, গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১/১১৭(গ) ধারা অনুযায়ী নিরাপত্তা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। তারা দাবি করেছে—সাকিব প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ব বিরোধের জেরে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। ড্রেন, জমি ও সংযোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। দুই পক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। উভয় পক্ষই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



Discussion about this post