আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি:- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের জুলাই আগস্টে দেশের ছাত্র-জনতাকে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড সেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে দুলুর জন্মস্থান নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর আমতলি বাজারে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত স্মরণকালের বৃহত্তম নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় দুলু বলেন, শেখ হাসিনার সময় দেশে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হলেও মানুষ কোনো বিচার পায়নি। আজও শত শত মা তার সন্তানের সন্ধান পায়নি, বিচারও পায়নি। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে বিচার করেছিল তাতে অসংখ্য অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ থাকলে বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে সেখানে সব নিয়ম নীতি অনুসরণ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে শেখ হাসিনা তার দলের লোকের পাশাপাশি দেশের প্রায় সব বাহিনীকে ব্যবহার করে গণহত্যা চালিয়েছে। তখন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে সামনাসামনি গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা এবং লাশ পুড়িয়ে ফেলার মতো অপরাধও করেছে। আদালতে আইনজীবীরা প্রতিটি ঘটনার উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।
দুলু বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সাবেক এমপি-মন্ত্রীরা ভারতে পালিয়ে থেকে বাংলাদেশকে অশান্ত করতে নিজেদের অনুসারীদের দিয়ে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষের জীবনকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। দেশের মানুষ তাদের আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছে না। বরং আদালতের ন্যায়বিচারে মানুষ খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে। রায়ের পর প্রকাশ্য রাস্তায় শত শত মানুষ মাটিতে সিজদা দিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছে। ন্যায়বিচার পেয়ে অনেকে স্বজন হারানোর কষ্ট ভুলে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সদস্য শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, নাসিম উদ্দিন নাসিম, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন প্রমুখ।