
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে :- চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ কামাল হোসেন বুধবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) দিনব্যাপী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক, সমন্বয়মূলক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে জেলার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বিভিন্ন সভা, সমন্বয় কার্যক্রম ও গণসেবামূলক আয়োজন পরিচালনা করে তিনি সরকারি সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনতে পরিকল্পিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। দিনের সূচনালগ্নে জেলা প্রশাসক মহোদয় ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের নিয়ে আয়োজিত গ্রাম আদালত বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিকী সমন্বয় সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি গ্রাম আদালতের সেবাদান প্রক্রিয়া আরও গতিশীল ও জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং সময়োপযোগী তথ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব, সঠিক মামলা তদারকি ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দেন। গ্রাম আদালতের সভা শেষে তিনি জেলা আদালতে কর্মরত বিজ্ঞ সরকারি আইনজীবী (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।এ সভায় জেলা প্রশাসক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, মামলা নিষ্পত্তির গতি বৃদ্ধি, অপরাধ দমন এবং জনস্বার্থমূলক মামলার কার্যকর উপস্থাপনা বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।দিনের মধ্যভাগে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাঁর কার্যালয়ে সাপ্তাহিক গণশুনানি পরিচালনা করেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি গণশুনানিকে জনগণের সরকারপ্রাপ্তির অন্যতম কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন। বিকেলে জেলা প্রশাসন চত্বরে অনুষ্ঠিত জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভার সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভায় কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য সংগ্রহের স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং পর্যাপ্ত মজুত ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা এবং মাঠ পর্যায়ের নিয়মিত তদারকির ওপর জোর দেন। দিনের শেষভাগে জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ কামাল হোসেন জুলাই যোদ্ধা ও জুলাই শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেন। তিনি তাঁদের আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি অনন্য অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে তাঁদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন চলমান কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে আশ্বাস প্রদান করেন। দিনব্যাপী কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রশাসন, বিচার, খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নয়নকাজ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব ও প্রতিশ্রুতির পরিচয় আবারও তুলে ধরলেন। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতের অগ্রযাত্রায় এসব কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।



Discussion about this post