
বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- চুয়াডাঙ্গা জেলার বৃহৎ ও জনবহুল উপজেলা আলমডাঙ্গা—যেখানে সরকারি সেবার বড় একটি অংশ নির্ভর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসকের উপর। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর পূর্বতন ইউএনও ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক শেখ মেহেদী ইসলাম দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি (রিলিজ) নেওয়ার পর প্রায় ১০ দিন অতিক্রম হলেও এখনো পদটিতে নতুন অফিসারকে পদায়ন করা হয়নি। এর ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে দৃশ্যমান স্থবিরতা ও নাগরিকসেবায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অস্থায়ীভাবে ইউএনও’র দায়িত্ব পালন করলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব, জনবল সংকট ও প্রশাসনিক চাপের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে দাফতরিক অনুমোদন,বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সেবার কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয়, পৌরসভার জরুরি জনসেবা, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও তদারকি—এসব খাতে নাগরিকরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন, বৃহৎ একটি উপজেলা ও “ক” শ্রেণীর পৌরসভা একসঙ্গে প্রশাসকহীন থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা বলছেন, “আলমডাঙ্গা গুরুত্বপূর্ণ একটি জনবহুল উপজেলা। এখানে একটি দিন ইউএনও-পৌর প্রশাসক না থাকাই বড় সমস্যা—আর সেখানে ১০ দিন ধরে প্রশাসন প্রধানহীন থাকা নাগরিকদের প্রতি অবহেলার সামিল।”প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অফ রেকর্ডে জানান, ইউএনও পদটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকার অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে পদায়নের বিষয়ে সতর্ক থাকে। তবে দীর্ঘসূত্রিতা স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে দৃশ্যত দুর্বল করে তুলছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি উপজেলা ও পৌরসভার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা, শৃঙ্খলাবদ্ধ সেবা এবং সরকারি প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও থাকা অপরিহার্য। দীর্ঘ শূন্যতা হলে তা জনদুশ্চিন্তা ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ায়। নাগরিক ভোগান্তি বিবেচনায় বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর অনুরোধ জানিয়েছেন আলমডাঙ্গাবাসী। তাদের প্রত্যাশা—অতি দ্রুত নতুন ইউএনও পদায়ন করে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হবে।



Discussion about this post