
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- রেমিট্যান্সই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বিদেশের মাটিতে ঘাম ঝরিয়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের মাধ্যমে দেশের পরিবার, সমাজ, এমনকি আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতিতে যে বিশাল ভূমিকা রাখা হয়—তা জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। ঠিক এমনই এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা জেলার গর্ব আমেরিকা প্রবাসী জনাব আনসার আলী, যিনি এবার নির্বাচিত হয়েছেন “চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী” হিসেবে। প্রয়াত সিরাজ মিঞার বড় জামাই এবং আলমডাঙ্গা আলিফউদ্দিন রোডে অবস্থিত আনসার প্লাজার মালিক জনাব আনসার আলীর এই অর্জন আলমডাঙ্গা তথা পুরো জেলার জন্য এক অনন্য সম্মানের প্রতীক। রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস–২০২৫ উপলক্ষে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের যৌথ উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জনাব আনসার আলীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটিতে বক্তারা বলেন, বিদেশে বসেও যারা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা প্রকৃত অর্থেই জাতির নীরব নায়ক। জনাব আনসার আলীর ধারাবাহিক রেমিট্যান্স প্রেরণ চুয়াডাঙ্গা জেলার সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করেছে।অনেক বছর ধরে প্রবাসে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ পাঠিয়ে তিনি শুধু পরিবারের কথাই ভাবেননি, বরং আলমডাঙ্গার ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আনসার প্লাজা এলাকার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।স্থানীয়রা জানান, জনাব আনসার আলী সততা, মানবিকতা ও এলাকার উন্নয়নে আন্তরিকতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত মুখ। তাঁর মতো আদর্শ মানুষ নতুন প্রজন্মকে প্রবাসে গিয়ে দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জনাব আনসার আলীকে আলমডাঙ্গাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন অনেকে। তাঁর এই অর্জন প্রবাসীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এবং আলমডাঙ্গার অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। দেশ ও উন্নয়নের সেবায় এভাবেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান আমাদের এগিয়ে নেবে আরও বহুদূর—এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।



Discussion about this post