
কাপাসিয়া প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের কাশেরা গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক নরুল ইসলামের তৃতীয় ছেলে শাহ্ আলম’র স্ত্রী মমতাজ বেগমের হয়রানিতে দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন সুবিচারের আশায়।
জানা যায় নরুল ইসলামের চার সন্তান আব্দুর রশিদ, রুকন মিয়া, আলম মিয়া ও শাহ্ আলম তাদের মাঝে শাহ্ আলম সবার ছোট এবং তার স্ত্রীর সাথে শ্বশুর নুরুল ইসলামের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের মমতাজ বেগম এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা দিয়েছেন শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
মমতাজ বেগম গাজীপুর কোটে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে পুলিশ এবং পিবিআই এর মাধ্যমে তদন্ত করিয়ে নুরুল ইসলামকে হয়রানি করছে।
এক মামলা শেষ এতে না হতে অন্য আরেকটি মামলা দিয়েছেন।
নুরুল ইসলামের দাবি তিনি তার চার সন্তানকে চব্বিশ শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন এর মধ্যে ছোট ছেলে যে জায়গায় অবস্থান করছে ওটা ওকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলামের থাকার ঘর নেই একটি ভাঙ্গা চোপড়ার মধ্যে তিনি অবস্থান করছেন ঝড় বৃষ্টি আসলে থাকা খুবই কষ্টকর হয় এর মধ্যে তিনি তার তৃতীয় ছেলে আলম মিয়াকে বাড়ি করতে বলেন বাড়ির কাজ শুরু করলে শাহ আলমের স্ত্রীর হিংসা প্রকাশ পায়, আলম কে যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তা ৫০ গজ পিছনে দেওয়া হয়েছে শাহ্ আলম কে সেই জায়গাটা একটু সামনে এ সামনে এবং পিছন নিয়ে তার শ্বশুরের সাথে মনোমালিন্য এবং হিংসা প্রকাশ করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মমতাজ বেগম তার ঘনিষ্ঠ লোকজনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ভাবে আলমগীরের সন্তান এবং নুরুল ইসলাম এর স্ত্রী তার শাশুড়ি তাদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
তারা প্রতিকার চাইলে মমতাজ বেগম ছুটে আসেন ইউনিয়ন তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত এস আই রফিক এর কাছে তার সহযোগিতায় বাড়ির লোকজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন।
নুরুল ইসলাম তার এই অত্যাচার রেহাই পাওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের কাছে একাধিক বার গিয়েছেন কিন্তু কারো কথা মমতা বেগম রাখেনি এ পর্যন্ত অনেক বিচার সালিশ হয়েছে কোন বিচার সালিশের রায়ে মমতাজ বেগম কর্ণপাত করেনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মমতাজ বেগম টোক ক্যাম্পের এস আই রফিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তার কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী আরো বলেন রফিককে তিনি ভাই বানিয়েছেন যার কারণে কোন কিছু হলেই রফিকসহ চার-পাঁচজন এসে হয়রানি করেন।
ইতিপূর্বে যে মামলাগুলো হয়েছে অধিকাংশ মামলাতেই নুরুল ইসলামের পক্ষে রায় এসেছে এরপরেও মমতাজ বেগম হয়রানি বন্ধ করেননি।
নুরুল ইসলামের ছেলে আলম মিয়া বিদেশ থেকে মোটো ফোনে জানান আমার বাবার সম্পত্তি বাবা যেভাবে বন্টন করে দিয়েছে আমি সেভাবেই নিয়েছি এবং এখনো যদি বলে আমাকে এ জায়গা থেকে চলে যাওয়ার জন্য আমি চলে যাব কিন্তু কি কারণে সে আমার বাবা-মাকে এভাবে হয়রানি করছে এটা আমি জানিনা।
নুরুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু নেতৃবৃন্দ তার কাছ থেকে টাকা দাবি করলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন এই কারণে মমতাজ বেগমকে ব্যবহার করে তারা ফায়দা নিতে চাচ্ছে।
টোক ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান সবুর, পোষ্ট মাষ্টার রতন, আলাল মেম্বার, নজরুল ইসলাম সহ আরো স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য একাধিকবার বিচার সালিশ করেছেন কিন্তু মমতাজ বেগম মানতে নারাজ।
অসহায় নুরুল ইসলামের দাবি আমার সম্পত্তি আমি আমার ছেলেদের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে আমার বাকি আরো সম্পদ রয়েছে আমি আমার সন্তানদেরকে দেবো কিন্তু আমার সন্তানের বউ কেন আমাকে এভাবে হয়রানি করবে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
টোক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলাল মেম্বার জানান এ বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেছি আমাদের কথা এই মহিলা রাখেনা আমরা বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের কষ্টের অবসান চাই।
এ ব্যাপারে টুক তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত এসআই রফিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মমতাজ বেগমকে তার শশুর কে হয়রানীর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি উল্ট অভিযোগ করে দায় এড়িয়ে যান।



Discussion about this post