
বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- বাংলাদেশের চিকিৎসা অঙ্গনে নতুন গৌরব যোগ করেছেন আলমডাঙ্গার কৃতিসন্তান নাক, কান, গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক রিকনসট্রাকটিভ সার্জন ডাঃ মোঃ খালিদ মাহমুদ। দেশের সর্বকনিষ্ঠ সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি নতুন ইতিহাস গড়লেন। ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর সহযোগী অধ্যাপক (গ্রেড–৪) পদে পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ডাঃ খালিদ মাহমুদের শেকড় আলমডাঙ্গার মাটিতে। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ লিয়াকত আলী ও মোছাঃ লায়লা আক্তার জাহান দম্পতির একমাত্র সন্তান। মেধা, পরিশ্রম ও মানবিক সেবার অঙ্গীকারে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসাক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। ৩০তম বিসিএসের এ মেধাবী চিকিৎসক বর্তমানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি অনকোলজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে তিনি দুই বছর কনসালট্যান্ট ইএনটি হিসেবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। রোগীসেবায় তাঁর নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা তাঁকে অল্প বয়সেই চিকিৎসা মহলে বিশেষ অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। জানা যায়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান, পেশাগত দক্ষতা এবং মানসম্মত গবেষণায় যুক্ত থাকার স্বীকৃতিস্বরূপই তিনি দ্রুত সময়ে সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তাঁর এই অর্জনে আলমডাঙ্গার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সহকর্মী চিকিৎসকরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের অভিমত— ডাঃ খালিদ মাহমুদ একজন অত্যন্ত দক্ষ, মানবিক ও দায়িত্বশীল চিকিৎসক। রোগীর প্রতি তাঁর আন্তরিকতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে তাঁর অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। আলমডাঙ্গাবাসীর গর্বের নাম হয়ে উঠেছেন ডাঃ খালিদ মাহমুদ। তাঁর এই অর্জন শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং আলমডাঙ্গার চিকিৎসা–অগ্রযাত্রায় নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আলমডাঙ্গাবাসী আশা করছে, ভবিষ্যতে তিনি দেশের চিকিৎসা খাতকে আরও সমৃদ্ধ করে জাতীয় পর্যায়ে বড় অবদান রাখবেন।



Discussion about this post