
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও গম্ভীরতার সাথে ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উদযাপনকে সামনে রেখে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশীষ কুমার বসু। সভায় অতিথিদের উপস্থিতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শারমিন আক্তার, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার উদয় আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন খাদ্য অফিসার জিনাত জাহান, মহিলা বিষয়ক অফিসার মাকসুরা জান্নাত, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার প্রশান্ত কুমার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য অফিসার বিল্লাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম খান, আবাসিক প্রকৌশলী সাহিনুর রহমান, একাউন্টস অফিসার শহিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, পৌরসভার নির্বাহী অফিসার রকিবুল ইসলাম ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম। সভায় সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সুধীজন অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীর শোকের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের প্রজ্ঞাবান সন্তানদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করেছিল। তাই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সরকারি কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার বসু বলেন— “১৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতির গর্ব ও বেদনার দিন, আর ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মহিমা। দুটি দিনই আলমডাঙ্গায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালনে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সবাইকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”তিনি আরও জানান, দিবসগুলো ঘিরে সার্বিক তদারকি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা হবে। সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিরা বলেন—“যে ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা এসেছে, সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এসব দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।” গৃহীত কর্মসূচি সভায় ১৪ ডিসেম্বর ও ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়— শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুল–কলেজে দেশাত্মবোধক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিতকরণ। সভা শেষে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে জাতীয় দিবসগুলো সফলভাবে উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। স্থানীয়রা আশা করছেন—উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বছরের ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও স্মরণীয় হয়ে উঠবে।



Discussion about this post