
নিজস্ব প্রতিবেদক:- পূবাইলে সুদে টাকা আনতে গিয়ে জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভিটাবাড়ী হারালেন বৃষ্টি রানী দাস ও তার পরিবার এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ডের পূবাইল মালীপাড়া এলাকায়।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,মালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিখা রানী দাস তার মেয়ে বৃষ্টি রানী দাসকে ২ কাঠা জমি মাটির ঘরসহ দলিল করে দেন ঐ ঘরেই থাকতেন মৃত্যু পথযাত্রী শিখা রানী দাস।হঠাৎ বৃষ্টি রানী দাস তার স্বামীর বিদেশ পাঠানো ও মায়ের সুচিকিৎসার জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন পড়লে পাশের এলাকা সাতানী পাড়া গ্রামের সুদীমহাজন সন্তোষ সাহার নিকট যান এবং ১০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসাবে দিতে বলেন যার প্রেক্ষিতে মাসিক ৩০হাজার টাকা সুদ দিতে হবে সন্তোষ সাহাকে এবং ঐ টাকার জামিনদার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক ২ কাঠা জমি পাওয়ার করে নেন সন্তোষ সাহা।কিন্তু বৃষ্টি রানীদাস তিন মাস ধরে লাভ প্রদানের পর জানতে পারেন সন্তোষ সাহা তার চুক্তি ভঙ্গ করে পাওয়ার থেকে ওই ২কাঠা জমি তার বড় ছেলে সনেট সাহাকে সাব কবলা দলিল করে দেন এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন বৃষ্টি রানী দাস ও তার অসুস্থ মা শিখা রানী দাস।
এবিষয়ে সন্তোষ সাহাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার ছেলে কে দলিল করে দেননি বলে জানান।স্হানীয় লোকজন দলিল উঠিয়ে দেখতে পারেন সন্তোষ সাহা ঠিকই প্রতারণামূলকভাবে বৃষ্টি রানী দাসের বন্ধককৃত জমিটি তার ছেলে সনেট সাহাকে সাবকবলা দলিল করে দেন। সুদ ও লগ্নী ব্যবসায়ী সন্তোষ সাহা কেউ একটু সামান্য বিপদে পড়লে তার নিকট নগদ টাকার জন্য আসলে উচ্চ লাভে টাকা দিতে হতো সময়মত লাভ দিতে না পারলে বিনিময়ে লিখে নিতেন গ্রাহকের সম্পত্তি।
সরে জমিন ঘুরে এমনটি দেখা যায় পূবাইল স্টেশন সংলগ্ন মালিপাড়া এলাকায় মায়ের চিকিৎসা এবং স্বামীর বিদেশ যাওয়া বাবদ ২০২৩ সালে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে ছিল মালিপাড়ার বৃষ্টি রানী দাস।সেজন্য প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা লাভ দিতে হবে সুদিমহাজন সন্তোষ সাহাকে । জামানতের শর্তে ২কাঠা জমি পাওয়ার নিলেও আজও সেই জমি ফেরত দেন নাই।বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পাওয়ার দেখিয়ে তাদের একমাত্র থাকার মাটির ঘরটি লোকজন নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।এখন তাদের একমাত্র দাবি সন্তোষ সাহার পাওনা টাকা নিয়ে শেষ স্মৃতি মায়ের দেওয়া জমিটুকু ফেরত দিয়ে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হোক এবং এই প্রতারক মিথ্যাবাদী সুদব্যবসায়ীর সঠিক বিচার চাই,যার ফাঁদে পড়ে এমন অনেকে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব।



Discussion about this post