
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:- ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হওয়ার পরেও এজাহারনামীয় আসামীদের রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার না করায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মনির চৌধুরী (৬০)। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) তিনি ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী মনির চৌধুরী হলেন- নগরীর সেহড়া ধোপাখলা মোড় এলাকার মৃত ইমরান চৌধুরীর ছেলে। তার দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা হলো- কৃষ্টপুর দৌলত মুন্সী রোড এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে কবির মিয়া (৪৬) এবং জামতলা এলাকার মোঃ কামাল হোসেনসহ নাম না জানা আরো ৪/৫ জন। অভিযুক্তরা যুবলীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামীরা ভুক্তভোগীর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট বিভিন্ন পোস্ট ফেসবুকে আপলোড করে। এ বিষয়ে আসামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা প্রথমে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী প্রথম দফায় ৩ হাজার টাকা দেন। এর ২/৩ দিন পর আসামীরা ভুক্তভোগীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন বাধ্য হয়ে তিনি আরও ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। আসামীরা বলপূর্বক অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীকে গুরুতর খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে। চাঁদাদাবি, চাঁদা গ্রহণ এবং খুন-জখমের হুমকির অভিযোগে চলতি বছরের ০৮ অক্টোবর কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৬ নং মামলাটি দায়ের করা হয়। পুলিশ সুপারের কাছে ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) এসআই সোহেল রানার সঙ্গে আসামীদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তার দাবি, আসামীরা অবাধে চলাফেরা করছে এবং তদন্ত কর্মকর্তার সাথে বিভিন্ন হোটেলে বসে “খাওয়া-দাওয়া” করে। আসামীরা ভুক্তভোগীকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে তদন্তকারী কর্মকর্তা “তাদের পকেটে” এবং তারা কখনোই গ্রেফতার হবেন না। আসামীরা বর্তমানে ভুক্তভোগীকে মামলা মীমাংসা করতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আপোষ না করলে তদন্ত কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার “ফাইনাল রিপোর্ট” করিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেয়। মামলার সঠিক তদন্ত না হওয়া এবং আসামীদের অব্যাহত জীবননাশের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসায়ী মনির চৌধুরী ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে এই আবেদনটি করেছেন। ভুক্তভোগী মনির চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, আসামীদের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার এমন “রহস্যজনক সখ্যতা” চলতে থাকলে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন এবং সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এবিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার এসআই সোহেল রানা জানান, আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। এসংক্রান্তে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এঘটনায় দ্রুত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



Discussion about this post