
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী তাদের নিয়মিত মাসিক রুকন বৈঠক ও নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা আয়োজন করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ঘিরে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। আসন্ন উপজেলা ও জাতীয় নির্বাচনে সংগঠনের ভূমিকা, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম এবং দাওয়াতি তৎপরতার দিকনির্দেশনা ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রভাষক শফিউল আলম বকুল। তিনি বলেন, “সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করতে হলে প্রত্যেক রুকনকে দায়িত্বশীলতার সাথে দাওয়াত, তরবিয়ত ও সমাজসেবামূলক কাজে আরও সক্রিয় হতে হবে। নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব বিভাগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নির্বাচন বিভাগের পরিচালক শেখ নুর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু। তিনি তার বক্তব্যে ইসলামি আন্দোলনের আদর্শ চর্চার পাশাপাশি সদস্যদের নৈতিক উন্নয়ন ও শিক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন ও ইসলামী সাহিত্য পাঠ আমাদের দাওয়াতি কাজকে শক্তিশালী করে। পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠে সংগঠনের অবস্থান দৃঢ় করতে ব্যাপক গণসংযোগ এবং ঘরে ঘরে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা জরুরি।”বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইন আদালত বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দারুস সালাম এবং উপজেলা নায়েবে আমীর ইউসুফ আলী মাস্টার। তারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংগঠনের অবস্থান ও কাঠামো শক্তিশালী করার নানা দিক তুলে ধরেন। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি ও নির্বাচন বিভাগের পরিচালক মামুন রেজা।
বৈঠকে সংগঠনের সার্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন, নির্বাচনী মাঠে প্রচার জোরদার, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নেতৃবৃন্দ জানান, আগামীর নির্বাচনে সংগঠনকে আরও সুসংহত ও সক্রিয় রাখতে প্রত্যেক রুকনকে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত করা হবে।
উপজেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি ছিল মূলত দাওয়াতি, সাংগঠনিক ও নির্বাচনী প্রস্তুতির একটি সমন্বিত পর্যালোচনা। উপস্থিত সদস্যরা একে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।



Discussion about this post