
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে: ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর—চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গাবাসীর জীবনে চিরস্মরণীয় এক দিন। এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয় আলমডাঙ্গা উপজেলা। দীর্ঘ ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা সেই দিনগুলোর স্মৃতি আজও এলাকায় বয়ে আনে গৌরব, বেদনা, সাহস আর আত্মত্যাগের অমর কাহিনি। সেই স্মৃতিকে ধারণ করেই আজ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “আলমডাঙ্গা মুক্ত দিবস-২০২৫” উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আশীষ কুমার বসু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শারমিন আক্তার, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আজগর আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ, খাদ্য অফিসার জিনাত জাহান, মহিলা বিষয়ক অফিসার মাকসুরা জান্নাত, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার প্রশান্ত কুমার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য অফিসার বিল্লাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম খান, আবাসিক প্রকৌশলী সাহিনুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন ব্যাংকের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, একাউন্টস অফিসার শহিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, পৌরসভার নির্বাহী অফিসার রকিবুল ইসলাম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা কুষ্টিয়া জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কমান্ডার আবেছ উদ্দিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কমান্ডার মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলি, ফকির মোহাম্মদ মাস্টার, নায়েব আলী, এ কে এ হেলাল উদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীবৃন্দ। বক্তারা বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস কেবল জাতীয় দিন নয়—এগুলো জাতির আত্মমর্যাদা, চেতনা ও অস্তিত্বের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এসব দিবস গভীর শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে পালনের কোনো বিকল্প নেই। তাঁরা আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ত্যাগ থেকেই জাতি শক্তি পায়। উন্নত, সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সকলকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তাই শুধু একটি দিন নয়—মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও নতুন প্রজন্মকে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়ার এক অঙ্গীকারের দিন।



Discussion about this post