
নিজস্ব প্রতিবেদক :- গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা–সংলগ্ন বোর্ডবাজার আই ইউটির অপজিটে কিশোর হাসানকে মিথ্যা চুরির অপবাদে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ভিকটিম পরিবারটি এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
অভিযুক্ত সিহাব খান জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এবং সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
নিহত কিশোর হাসানের বাবা গত শুক্রবার বোর্ডবাজার জুমার নামাজের পড় মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করেছি। কিন্তু মামলা করার পর থেকেই উল্টো আমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। সিহাবসহ কয়েকজন আমাদের অনুসরণ করছে, ফোনে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশকে জানালেও তেমন কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।”
এই হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারটি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছে। প্রধান আসামিসহ জড়িত বেশ কয়েকজন এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারটি আরও বেশি আতঙ্কিত।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি ছিল একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত, এবং চুরির অভিযোগ ছিল মিথ্যা। পিটুনির মাত্রা ছিল অত্যন্ত অমানবিক। ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ইতোমধ্যে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। অবশিষ্ট আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার। ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্রুত বিচার আইনের আওতায় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি। ভিকটিম পরিবারের এক সদস্য প্রশ্ন রাখেন, “আমাদের ছেলে হত্যার বিচার চাই। কিন্তু মামলার আসামিরাই যদি রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ?”
মামলার অফিসার এস আই লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মামলা হওয়ার পর চার জন আসামীর ভিতরে দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি, যদি মহামান্য আদালত জামিন দেই আমাদের কিছু করার নেই।” তবে, জামিনপ্রাপ্ত আসামির হুমকির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ এবং ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে। ন্যায়সঙ্গত তদন্ত, ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার, এটাই এখন বোর্ডবাজারের সাধারণ মানুষের প্রধান প্রত্যাশা।



Discussion about this post