
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা রোধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নারীর অধিকার ও অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে আলমডাঙ্গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস–২০২৫ উপলক্ষে। “আমিই রোকেয়া”—এই অনুপ্রেরণাদায়ী শ্লোগানকে সামনে রেখে ৯ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ পান্না আকতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু, সমাজ সেবা অফিসার মো.সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার হিরোজ কবির এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত। তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই; পাশাপাশি প্রযুক্তিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও প্রশাসনের যৌথ সমন্বিত প্রয়াসেই সহিংসতামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে “অদম্য নারী ২০২৫” কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য সাহস, অর্জন ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়—
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বন্ধনা দত্ত,সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী জান্নাতুল ফেরদৌস, নির্যাতন জয়ী ও জীবনসংগ্রামে সফল নারী হোসনেয়ার,শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী নার্গিস খাতুন,এবং সফল জননী হিসেবে ফেরদৌসী বেগম।জীবনসংগ্রাম, দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস এবং সমাজে ইতিবাচক অবদানের ভিত্তিতে তারা এই সম্মাননা লাভ করেন। অতিথিরা তাঁদের অনুপ্রেরণাদায়ী জীবনের গল্প তুলে ধরে বলেন—এই নারীরাই সমাজে পরিবর্তনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বক্তারা আরও বলেন, ‘‘নারীকে শুধু স্বীকৃতি দিলেই হবে না; সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে নিরাপত্তা, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা। প্রযুক্তিনির্ভর যুগে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’অনুষ্ঠানের শেষে সম্মাননা প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার সংরক্ষণে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।



Discussion about this post