
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমরা কৃষকদেরকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় আমরা ক্ষমতায় আসলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করে টিকে আছি। আমাদের বিএনপির ৭শ নেতাকর্মী গুম খুনের স্বীকার হয়েছেন। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা দিনের ভোট রাতে করবো না। জনগণ যদি আমাদের চায় আমরা ক্ষমতায় আসবো। আজ বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলার লোকনাথপুর হেলিপ্যাড ফুটবল মাঠে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিএনপির নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
তিনি আরো বলেন, ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যকর্মী পৌঁছে দিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন জাতী আমরা তৈরি করতে চাই। ইতিবাচক রাজনীতির সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই। বিএনপির ৩১ দফায় দেশের সকল শ্রেণীর জনগণের স্বার্থ, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে। আপনারা সৌভাগ্যবান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী, সৎজন প্রার্থীদের মধ্যে সামনের কাতারে রয়েছে আপনারা প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই অঞ্চলের মা-বোনেরা, সন্তানেরা, ছোট ভাইদের ভোটটি ধানের শীষ প্রতীকে দিয়ে ব্যালট বাক্সটি পরিপূর্ণ করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ। আমরা বিপ্লব করেছি গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের লড়াই, মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই সংগ্রামে চুয়াডাঙ্গার মানুষ বারবার তাদের শক্ত অবস্থান দেখিয়েছে।
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গা হবে পরিবর্তনের সূতিকাগার, মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করবে। দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র নওয়াব আলী, দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান মিয়া, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী শওকত খন্দকার, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান খোকন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান কবীর, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী, জীবননগর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুনু, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।দর্শনা বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, আলহাজ্ব মশিউর রহমান, এনামুল হক শাহ মুকুল, নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, নাসির উদ্দিন খেদু,ইকবাল জোয়াদ্দার প্রমুখ।



Discussion about this post