চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পাশে বেসরকারি মদিনা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রায়হানের স্ত্রী তাসমিম (২১) গত ৭ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, তাসমিম "অ্যাপেন্ডিক্সের এর তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মদিনা ক্লিনিকে নেওয়া হয়। এ সময় তাসমিম ও তার খালা শেফালি ক্লিনিকের পরিচালক বাবুর সঙ্গে অপারেশন বিষয়ে কথা বলেন। পরিচালক বাবু তাদের আশ্বস্ত করেন যে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মামুন নিজেই অপারেশন করবেন। পববর্তীতে অপারেশন ও ওষুধ বাবদ মোট ৪ হাজার টাকায় চুক্তি হয় বলে জানায়।

কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) বিকেল ৪টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে প্রফেসর ডাঃ মামুনের অপারেশন করার কথা থাকলেও তার পরিবর্তে অপারেশন করেন চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল রোডে অবস্থিত সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসক ও সার্জন কনসালটেন্ট সনোলজিস্ট ডাঃ নাফিসা নওশিন এবং অ্যানেস্থেসিয়া দেন ডাঃ সজীব।
ভুক্তভোগীর খালা শেফালি অভিযোগ করে বলেন, "অ্যাপেন্ডিক্সের নাড়ি না কেটে ডাক্তার নাফিজা নওসিন রোগী তাসমিমের পায়খানার নাড়ি কেটে ফেলেন। এরপর থেকেই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।"
পরিবারের দাবি, অপারেশনের পর তাসমিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। একাধিকবার বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে তাসমিম মদিনা ক্লিনিকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
এ ঘটনায় পরিবার চিকিৎসা অবহেলা, প্রতারণা ও অবৈধভাবে অপারেশন পরিচালনার অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, রোগীর সম্মতি ছাড়া নির্ধারিত চিকিৎসকের পরিবর্তে অন্য চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করানো হয়েছে, যা গুরুতর অনৈতিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মদিনা ক্লিনিকের পরিচালক বাবুর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে এই বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আওলিয়ার রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই।
এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগী পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
" রোগীর ব্যাপারে ডাঃ নাফিসা নওশিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন "আমি রোগীকে উপকার করেছি", রোগীর ভিতরে কয়েকটি নাড়ী একসাথে জটলা পাকিয়ে ছিলো যেমন " তার ফ্যালোপিয়ান টিউব, জরায়ুর নাড়ী এবং মলের নাড়ি একসাথে জড়িয়ে থাকায় আমি মলের নাড়ি আলাদা করে তারপর সেলাই করে আলাদা করে দিই এটি রোগীর জন্য উপকার হয়েছে। তারপর বলেন আমি বাকি অপারেশন সম্পূর্ণ করে চলে আসি। বর্তমানে রোগী সুস্থ্য আছে তার কোন শারীরিক সমস্যা, জ্বর , ব্যাথা বা ইনফেক্সন নাই, তার অপারেশনের একদিন পরেরই পায়খানা হয়েছে যা সবাই জানে। কিন্তু দালাল শেফালী আমার বিরুদ্ধে নানান জায়গায় অভিযোগ তুলে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫