
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- আজ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫— শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দেশভাগের পূর্বে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ছিলেন, তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিতে সারা দেশে প্রতি বছর এই দিনটি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব পান্না আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিনাত জাহান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম খান, আবাসিক প্রকৌশলী সাহিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলি, আব্দুর রশিদ মোল্লা, আফজাল হোসেন, নবীছদ্দিন, সহ শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বক্তারা বলেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশের মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা আরও দৃঢ় হয়েছে।
”বক্তারা আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্যকে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। এই দিনটি আমাদের দেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।” অনুষ্ঠানে শেষ হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে।



Discussion about this post