
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে:- আলমডাঙ্গার দুই মেয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে এলাকার জন্য গর্বের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তাদের এই সাফল্য শুধু নিজ নিজ পরিবারকেই নয়, আলমডাঙ্গার সর্বস্তরের মানুষকেও আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। মেধা, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে—স্বপ্ন থাকলে সাফল্য অনিবার্য। মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মুশরাত মোস্তফা। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক গোলাম মোস্তফার কন্যা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুশরাত ২৯১তম স্থান অর্জন করে এই কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য লাভ করেন। মুশরাত আলিফ উদ্দিন রোডের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ (বেল্টু মিয়া) ও অবসরপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি চিকিৎসক সিরাজ উদ্দিনের নাতনি। দীর্ঘদিনের সাধনা, নিয়মিত অধ্যয়ন ও পরিবারের উৎসাহ-অনুপ্রেরণাই তাকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। মুশরাতের এই সাফল্য তার পরিবারের পাশাপাশি পুরো আলমডাঙ্গাবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। তার অর্জন প্রমাণ করে—নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যে কোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। এলাকাবাসী তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও আরও বড় সাফল্যের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। অপরদিকে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাসফিয়া রোমান তরু। তিনি আলমডাঙ্গার এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম রকিবুল ইসলাম ও রাবেয়া আকতার দম্পত্তির কন্যা। রকিবুল ইসলাম গোবিন্দপুর গ্রামের সন্তান। তাসফিয়া রোমান তরুর এই সাফল্য তার পরিবারকে নতুনভাবে গৌরবান্বিত করেছে। মেধা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের সমন্বয়ে সে এই অর্জন সম্ভব করেছে। তার এই কৃতিত্ব শুধু পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আলমডাঙ্গা ও জামালপুর জেলার শিক্ষাঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। মুশরাত মোস্তফা ও তাসফিয়া রোমান তরু—এই দুই কন্যা আজ আলমডাঙ্গার প্রতিটি মানুষের গর্ব। তাদের সাফল্য প্রমাণ করে, আলমডাঙ্গার মেয়েরাও শিক্ষার আলোয় নিজেদের স্বপ্নপূরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। এই দুই শিক্ষার্থীর অর্জন নিঃসন্দেহে বর্তমান প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণাদায়ী দৃষ্টান্ত। দৃঢ় মনোবল, অধ্যবসায় ও শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা যে মানুষকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে—তারা সেটিই আবারও প্রমাণ করল।


Discussion about this post