
মো.শফিকুল ইসলাম,গাজীপুর প্রতিনিধি:- গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে এক মঞ্চে উঠে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন একই দলের সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। সব ভেদাভেদ ভুলে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে একসঙ্গে মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেন তাঁরা। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে টঙ্গীর মধুমিতা রোডসংলগ্ন টঙ্গী কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নির্বাচনী প্রাক-প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় গাজীপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম মনজুরুল করিম রনির সমর্থনে এক মঞ্চে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান মিয়া হান্নু, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাজু, গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন শাহীন এবং টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন। বক্তারা বলেন, বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে একটি ‘অদৃশ্য শক্তির’ মোকাবিলা করে বিএনপিকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। একই সঙ্গে যেসব নেতাকর্মী এখনো মাঠে সক্রিয় হননি, তাঁদের আগামী দুই দিনের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নামার আহ্বান জানানো হয়। টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান নূর ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ড. মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, আহমেদ আলী রুশদী ও মাহবুবুল আলম শুক্কুর, সদর মেট্রো থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, সাবেক আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম কিরণসহ আরও অনেকে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের মধ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল ও মৎস্যজীবী দলের মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা, গাছা, সদর মেট্রো এবং পুবাইল থানা (একাংশ) বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।


Discussion about this post