
বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনেকগুলো ছোট বড় জলমহাল আছে। এরফলে প্রতিবছর শীত মৌসুমে স্থানীয় দেশীয় পাখির পাশাপাশি অগনিত অতিথি ও পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বেড়ে যায় সবগুলো জলাকারে-ই। আর ঠিক এই সুযোগে কিছু অসাধু পাখি শিকারীর দল জেলার প্রায় প্রতিটা স্থানেই পাখি ধরা, মারা, ক্রয়- বিক্রয় ও পাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে পুরোদমে। যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে সত্যিই অমানবিক কার্যকলাপ। আর এই কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ সংগঠন গতকাল হতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ব্যাপী প্রচারণার শুভ উদ্ভোদন অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয় সংগঠনের প্রচার কার্যক্রম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা সহসংগঠনের উপদেষ্টা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবি সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ শাহাজাহান। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা বলেন, বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ আজকের এই কার্যক্রম সত্যি প্রশংসনীয়। জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অতুলনীয়। পাখিসহ সকল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি তা না হয় তবে মানুষের অস্তিত্ব বিলীন হবে। তাই পাখি ও বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে জনসচেতনতা খুবই জরুরী। এরপর সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ এর প্রাণিবিদ্যা প্রভাষক আহসান হাবীব শিপলু বলেন, দীর্ঘদিন যাবত পাখি শিকার বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও কিছু অসাধু পাখি শিকারীরা প্রায় পাখি শিকার করে যাচ্ছেন যা খুবই কষ্টদায়ক। পাখি আমাদের কৃষি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ব্যপক ভূমিকা রাখে। তাই পাখি শিকার, হত্যা, পাচার রোধে আমাদের এই প্রচারণা।
এসময় সংগঠনের উপদেষ্টা বলেন, পাখি প্রকৃতির এক নিদারুণ অলংকার। বন্যপ্রাণী মানেই মানব সমাজের আশির্বাদ, যা মানব সমাজকে প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ ভূমিকা বহন করে, বন্যপ্রাণীর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিবেশ বান্ধব প্রাকৃতিক কীটনাশকের কাজ করে থাকে পক্ষীকূল। এরা জমি থেকে ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফসলকে রক্ষা করায় পাখিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। যা নিজেদের জীবন বাচানোর পাশাপাশি বেঁচে যায় কৃষক। যা কৃষিপ্রধান আমাদের এই দেশে কৃষকের অকৃত্রিম উপকারী বন্ধুত্বপূর্ণ কাজ করে আসছে প্রতিনিয়ত।
এসময় সংগঠনের সদস্য নীরব, রিগান, জিসান, সুয়াইব, রুবাই, সিফাত, শাহরিয়ার, আশিকসহ আরও অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।


Discussion about this post