প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫, ৭:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫, ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ
আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কেবি চুরি সেচব্যবস্থা অচল, ফসল নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা

বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি:- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের কেবি (কন্ট্রোল বক্স) চুরির ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সংঘবদ্ধ একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। এতে একদিকে সেচ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন নিয়ে মারাত্মক শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিমতলা ও খামার মাঠ এলাকায় একযোগে চুরির ঘটনা ঘটে। গ্রামের বাসিন্দা রাজু আহম্মেদের সেচ মটরে স্থাপিত একটি কেবি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুজন আলী মেম্বারের খামার মাঠে অবস্থিত একটি বোরিংয়ের তিনটি কেবি খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধার ও নির্জন পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে চোরচক্র নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। চুরির ফলে সংশ্লিষ্ট সেচ মটর ও বোরিং সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। এতে চলতি মৌসুমে জমিতে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ধান ও অন্যান্য ফসল মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে বোরিংনির্ভর কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসীরা জানান, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও একাধিকবার পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার, কেবি ও সেচ সরঞ্জাম চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, রাত্রীকালীন পুলিশ টহল জোরদার এবং বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা এলাকার পরিচালক মমতাজুর মুর্শিদ বলেন,“গত কয়েক মাস ধরে আমাদের এলাকায় সেচ পাম্প ও ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এতে শুধু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না, কৃষকদের স্বপ্নের ফসলও মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে টহল জোরদার করার চেষ্টা চলছে।”এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন,“এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।” ক্রমবর্ধমান এই চুরির ঘটনায় কৃষি উৎপাদন ও গ্রামীণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫
© সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত !! Email: [email protected]