গোসাইরহাটে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, সন্তানদের চিৎকারে প্রাণে বেঁচে গেল দুই সন্তানের জননী শারমিন

জুলফিকার আলী জুয়েলঃ শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশির আগমনে প্রানে বেঁচে গেল দুই সন্তানের জননী মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯)। শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানা সূত্রে যানা যায় যে, গত ৪ নভেম্বর ২০২৪ইং সাল রোজ সোমবার সকাল ১১টায় মোঃ শাহজালাল খাঁন (৩৬) পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করলে ঘরে থাকা দুই সন্তান মোছাঃ ইকরা মুনি (৮) এবং মোছাঃ আফরিয়া (২) কান্নাকাটি ও টিচৎকার করলে এ সময় নিকটবর্তী প্রতিবেশীরা ছুটে এসে সর্বোচ্চ চেষ্টার বিনিময়ে দুই সন্তানের জননী মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯) কে হত্যার কবল থেকে প্রানে বাঁচায়। উক্ত ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা মোছাঃ শারমি বেগম (২৯)কে সদর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয়দের সহযোগীতায় গোসাইর হাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয় যাহার নং-৩৩৫/২০২৪। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিকট থেকে যানা যায় যে, ঢাকাস্থ সাভার এলাকায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে চাকুরী করতেন মোঃ শাহজালাল খাঁন (৩৬)। সেই সুবাদে উক্ত কারখানার নারী শ্রমিক মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯) এর মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত ঘটলে উভয় পরিবারে সকলের সম্মতিক্রমে গত ১৪ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মতে তাদের তিন লক্ষ টাকা দেন মোহর লিপির মাধ্যমে বিবাহ সম্পর্ণ হয়। এরপর তাদের ঘরে মোছাঃ ইকরা মুনি (৮) এবং মোছাঃ আফরিয়া (২) দুইটি কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন প্রকার চাহিদা মেটানোর দাবী ধরে বসেন মোঃ শাহজালাল খাঁন (৩৬) এবং তার পিতা মাতা। যার ফলশ্রুতিতে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়সই কলহ লেগেই থাকতো মোছাঃ শারমিন বেগমের ঘরে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রতিনিধিগন জানিয়েছেন ইতিপূর্বে একাধিকবার পারিবারিক ভাবে বিগত দিনের ঝগড়া-বিবাদ আপোষ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী কয়েকজন নারী পুরুষ জানিয়েছেন ঘটনার সময় মোঃ শাহজালাল খাঁন (৩৬) এবং তার পিতা মোঃ চুন্নু খাঁন (৬৫) ও মাতা মোছাঃ হামিদা বেগম (৫৮) এর যোগসাজস্যে মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯)কে হত্যার চেষ্টা করলে তাদের দুই সন্তান মোছাঃ ইকরা মুনি (৮) ও মোছাঃ আফরিয়া (২) এর কান্নার শব্দ এবং মাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং মোছাঃ শারমিন বেগম (২৯) কে হত্যার কবল থেকে রক্ষা করেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান জনাব মোঃ মাহফুজুল হক বলেন জঘন্য ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি বা দন্ডাদেশ পদ্রান কামনা করছি। নেক্যারজনক এই জঘন্য ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবী করেছেন এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ।