স্টাফ রিপোর্টারঃ ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে গাজীপুর ২ আসন থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, পরবর্তীতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন এবং সর্বশেষ নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র রাজনীতির শিক্ষাগুরু জননন্দিত নেতা মরহুম আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নান স্যারের সুযোগ্য রক্তের উত্তরাধিকারী তৃণমূল নেতা কর্মীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল, সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের সাথী, মহানগর বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসন থেকে এমপি হিসেবে চান তৃণমূল নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

গাজীপুরের মাটিও মানুষের এই নেতাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ মনে করছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নান স্যার যেভাবে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কাজ করেছেন একই সঙ্গে উন্নয়ন করে গেছেন ঠিক সেইভাবে তার সুযোগ্য সন্তান এম মঞ্জুরুল করিম রনিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।
বিষয়টি দৈনিক আমাদের সংবাদ এর পক্ষ থেকে মঞ্জুরুল করিম রনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভোগের জন্যে রাজনীতি করি না, রাজনীতি করি সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য, তাদের সুখ দুঃখের সাথী হওয়ার জন্য। আমার মরহুম পিতা আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নান যেভাবে অসহায় ও সাধারণ মানুষের খেদমত করে গেছেন, ঠিক তেমনি আমিও বাবার আদর্শকে বুকে লালন করে সাধারণ মানুষের খেদমত করতে চাই, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে চলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত মোকাবেলা করে সকল অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে, গাজীপুর মহানগরের সকল বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীকে বুকে আগলে রেখে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর ২ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
দৈনিক আমাদের সংবাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আমি আমার বাবাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি বাবা কিভাবে সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছিলেন। আমিও আমার বাবার দেখানো পথে হেটে সাধারণ মানুষের সেবায় বাকি জীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। তিনি আরো বলেন আমি চাইনা আমার দ্বারা একজন সাধারন কর্মী ও সাধারণ মানুষ কষ্ট পাক। আমি চাই সাধারণ মানুষগুলো যেন আমার কাছে এসে তাদের দুঃখ কষ্টগুলো ভাগাভাগি করতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমি বেশি তৃপ্তি পাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান দল আমাকে কি দিল আর আমি কি পেলাম সেটা বড় বিষয় না, সবচেয়ে বড় কথা হল বিগত দিনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সাধারণ মানুষ ও আমার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসন থেকে আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে একটি সুখী সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করা এবং এই গাজীপুরকে একটি আধুনিক বিশ্বের মধ্যে রোল মডেল তৈরি করা। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সারাটি জীবন আপনাদের খেদমত করতে পারি। তিনি আরও বলেন আমাকে যদি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গাজীপুর ২ আসনের সাধারণ মানুষের খেদমত করার সুযোগ দেন তাহলে গাজীপুরকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করব। তিনি বলেন, আমার মরহুম পিতা সাধারণ মানুষের খেদমত করতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চক্রান্তের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন, আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাকেও যদি বাবার মত জীবন দিতে হয় তাতেও আমি প্রস্তুত। আমি মৃত্যুর ভয়ে ভীত নই আমি চাই অত্র অঞ্চলের মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় এবং সাধারণ মানুষ যেন শান্তিতে দু'বেলায় এক মুঠো ভাত খেতে পারেন সেই চেষ্টাই করবো ইনশাল্লাহ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, শহীদ জিয়া অমর হোক।