
নিজস্ব প্রতিবেদক :-গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী ইউনিয়নে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে এই বিএনপি নেতা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযুক্ত সেই নেতার নাম মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পিরুজালী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কয়েকটি আইডিতে সাত্তার নামের এক ভুক্তভোগী এই অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী সাত্তার ও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী একই এলাকার বাসিন্দা।
চাঁদাবাজির শিকার কয়েকজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে তাঁরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না, মুখ খুললে মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারীর নিজস্ব বাহিনীর নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। ইতিমধ্যে যে ভিডিওটি বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাল হয়েছে এক ভুক্তভোগীকে বলতে শোনা যাচ্ছে পিরুজালী এলাকার সাত্তার জানান হাবিবুর রহমান বেপারী আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে আমাকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে ৪ লক্ষ টাকা দাবী করে। এসময় তিনি বলেন আমি ছোটকাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম পাদ পদবীর পিছনে দৌড়াইনি। এজন্য আজকে পিছিয়ে রয়েছি, একই এলাকার চেয়ারম্যান জালালের সাথে কোন ছবি দেখে আমাকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে আমার নিকটে থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নেয় হাবিব বেপারী ।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু তাহের মুসুল্লির নিকটে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে কেউ এসব বিষয়ে অভিযোগ করে নাই, অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে প্রতিপক্ষ থাকে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হচ্ছে এগুলোর সাথে আমি জাড়িত না, আমি এই ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করি। নির্বাচন করি নির্বাচন করা কালিন হয়তো আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সাথে আমার ছবি থাকতে পারে বলে তিনি জানান এলাবাসীর সাথে কথা বলে আরো জানা গেছে হাবিবুর রহমান বেপারী পিরুজালী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ছবি দেখে দেখে তাদেরকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এই প্রতিবেদকের নিকটে (চলবে)।



Discussion about this post